মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: স্বল্প পুঁজি ও পরিশ্রমে রেণু পোনার মিশ্র চাষে স্থানীয় পর্যায়ে সফলতা এনেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মৎস্য চাষী মধু মিয়া। বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাড়ির পুকুরেই রেণু পোনার মিশ্র চাষ করেন তিনি। অল্পদিনে তার এ প্রকল্প থেকে মুনাফাও এসেছে পুঁজির প্রায় ৯ গুণ।
সরেজমিন মধু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বিক্রির জন্য পুকুরে পোনা ধরছিলেন তিনি। পাড়ে দেখা যায় পোনা নিতে আসা মৎস্য চাষীদের সারি। মধু মিয়া ‘সাংবাদিকদের জানান, এর আগে একই পুকুরে পরপর দু’বার গলদা চিংড়ি চাষ করেছি। ফলাফলও পেয়েছি ভালো। আমাদের উপজেলায় সচরাচর পোনা মাছ পাওয়া যায় না। সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পোনা আনতে হয় চাষীদের। স্থানীয় চাষীদের চাহিদার কথা চিন্তা করেই এবারের রেণু চাষ। কুলাউড়া সরকারি মিনি হ্যাচারী থেকে ৫ কেজি মিশ্র রেণু পোনা (রুই, কাতলা, মৃগেল, রাজপুঁটি, বাটা, কালিবাউস, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, সিলভার কার্প, বিগহেড) সংগ্রহ করি। গেত ১৭ মে পুকুরে রেণু ছাড়ি। নিয়মিত পরিচর্যার চার মাসেই বিক্রি উপযোগী পোনা আসতে শুরু করে। বর্তমানে আমার পুকুরে ৮শ কেজি পোনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় চার লক্ষ্য টাকা।
ইতিমধ্যে স্থানীয় চাষীদের কাছে ৫০০ টাকা কেজি দরে অর্ধলক্ষ্য টাকার পোনা বিক্রি করেছি আমি। এ পর্যন্ত রেণুসহ আমার ব্যয় হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে মিশ্র চাষ থেকে কম হলেও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মুনাফা হবে আমার।
উপজেলার মৎস্য চাষী মাছুম আহমদ জানান, সিলেট-হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের পোনা মাছ আনতে হয়। এখন হাতের কাছে মধু মিয়ার কাছ থেকে আমরা চাহিদা মতো পোনা পাচ্ছি। এতে কমেছে পোনা সংগ্রহের অতিরিক্ত খরচ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে সাহস করে এগিয়ে এলে সফলতা আসবেই। সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করলে মৎস্য চাষে ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা অপ্রতুল। রেণু পোনার মিশ্র চাষে মধু মিয়ার সাফল্যই এর উদারহণ।
Sharing is caring!