সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
সিলেট :: আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়া বাংলাদেশের অধিনে কওমী মাদরাসা সমূহের দাওয়ায়ে হাদীস তাকমিলের সনদকে মাষ্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি সমমান প্রদান) বিল মহান জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজিরবাজার সিলেটের পক্ষ থেকে জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমানের আহবানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে সিলেট নগরীতে শোকরানা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সামীউর রহমান মুসার নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়।
জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা সামীউর রহমান মুসার সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক ও সাবেক জি.এস মাওলানা ফাহাদ আমানের পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী সভায় বক্তব্য রাখেন জামেয়ার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল খালিক, আলহাজ¦ মাওলানা ফেদাউর রহমান দিদার, মাওলানা হারুনুর রশীদ, সাবেক জি.এস হাফিজ মাওলানা ফয়সল আহমদ, সাবেক জি.এস হাফিজ ইকরামুল হক জুনাইদ, জি.এস হাফিজ উবায়দুর রহমান নাহিদ, সাবেক এ.জি.এস হাফিজ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. এর সারাজীবনের প্রচেষ্টা ও আন্দোলন ছিল কওমী মাদরাসার সনদের সরকারী স্বীকৃতি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর আমরা আমাদের কাংখিত স্বীকৃতি পেয়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বক্তারা বলেন, কওমী মাদরাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এবং কওমী মাদরাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ও স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমী মাদরাসা সমূহকে দাওরায়ে হাদীসের সনদের বিল পাস হওয়ায় ১৫ লক্ষ ছাত্র-শিক্ষক আজ আনন্দিত। কওমী মাদরাসা সমূহকে মূল্যায়ন করায় দেশের শিক্ষাঙ্গনে বিশাল একটি জনগোষ্ঠির উন্নতি ও অগ্রগতি বাড়বে এবং মাদরাসার ছাত্ররা সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে সততা এবং আমনদারীতার শিক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সংসদে এই বিল পাসের জন্য তোলা হলে, নানা প্রক্রিয়া শেষে বিলটি ভোটে দেন স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর ফলে কওমী ছাত্র-শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হলো। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd