সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিববেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট সালুটিকরে অপরাধীদের ত্রাস হয়ে আছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রজিউল্লাহ। তিনি সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ।
পুলিশ পরিদর্শক মো. রাজিউল্লাহ খান গত বৎসরের ২৩ নভেম্বর সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র যোগদান করেন। যোগদানের পূর্বে সালুটিকর এলাকা ছিল অপরাধীদের অভরায়ণ্য। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ সব ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে। অপরাধীচক্র বিভিন্ন ভাবে এলাকায় তাদের ত্রাস সৃষ্টি করে রাখতো। দিনে-দুপুরে ডাকাতি, মেয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ছিল সালুটিকর এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। বিশেষ করে মাদক ও ডাকাতির স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল এই সালুটিকর এলাকা। ভৌগলিক কারণে তিন উপজেলার মিলনস্থল সালুটিকর ওই স্থান দিয়ে সকল ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার করা হয়। এক সময় পত্রিকার পাতা খুললেই সালুটিকরের অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনা চুখে পড়তো।
কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। অনেক উন্নত হয়েছে সালুটিকর এলাকা। পুলিশ পরিদর্শক মো. রাজিউল্লাহ সালুটিকর ফাঁড়ির ইনচার্জ পদে যোগদানের পর অপরাধীদের আতঙ্ক হয়ে উঠে। তার সাহসী ভূমিকায় এলাকা দিয়ে কোন ভারতীয় চোরাই পণ্য পাচার হচ্ছে না। চোরাই কারবারীরা ইন্সপেক্টর রজিউল্লার ভয়ে অন্যত্র এলাকা দিয়ে চোরাই মাল নিয়ে যায়। যেখানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষন লেগেই থাকতো। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যেখানে একসময় প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আজ সেই সালুটিকরে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। তাদের ছেলে মেয়েদের নির্বিঘ্নে স্কুল কলেজে পাঠাতে সাহস পায়। আর এ সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ সৎ ও কর্মঠ পুলিশ অফিসার মো. রাজিউল্লাহ।
এলাকাবাসী জানায়, ইন্সপেক্টর রজিউল্লার আসার পর থেকে অত্র এলাকায় মাদক, জুয়া, ছিনতাইসহ সকল অপরাধ এখন জিরো টলারেন্সে পরিনত হয়েছে। এলাকার মাদক বিক্রেতা বেশীর ভাগ এখন শ্রীঘরে রয়েছেন। রজিউল্লা আসার আগে ওই এলাকায় বড় বড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসকল ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পাননি গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী ও প্রেস ক্লাব সভাপতি এম এ মতিন। ওই দিন এলাকায় দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর্যন্ত ডাকাতি করা হয় কিন্তু পুলিশ কোন খবর পায়নি। ওই সময় সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন এস আই বাদল। এত বড় ডাকাতির স্পট ছিন্নভিন্ন করে দেন ইন্সপেক্টর রজিউল্লা। ইন্সপেক্টর রজিউল্লার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ এলাকার শান্তিকামী মানুষজন। এলাকাবাসী চায় অত্র পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এরকম না হলে এলাকায় সকল অপরাধ আগেকার মতো বেড়ে যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd