প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ, ৮ প্রতারক আটক

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮

প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ, ৮ প্রতারক আটক

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নওগাঁয় ধনাঢ্য পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে প্রেমের আহবান জানিয়ে বাড়িতে ডেকে এনে বিশেষ কৌশলে বেকায়দায় ফেলে অর্থ আদায়ের মত প্রতারক চক্রের ৪ যুবতী ও তাদের সহযোগী ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এই চক্র বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে এই অপকর্ম করে আসছিল। পুলিশ তাদের বহুদিন ধরে খুঁজছিল।

নওগাঁ সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল হাই জানান, গ্রেফতারকৃত শান্তা, নিপা ও সন্ধ্যা উক্ত রিয়া নামের মেয়ের সহযোগিতায় যে কোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে টার্গেট করে মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের প্রথমে প্রেমের অফার দিয়ে বাড়িতে ডাকে। এই ডাকে কেউ কেউ সাড়া দিয়ে ফেঁসে যায়।

তাদের বাড়িতে ডেকে এনে ঘরের দরজা বন্ধ করে উভয়ে বিবস্ত্র হয়। তাদের ছেলে সহযোগিদের ফের করে। এসে দরজা নক করে ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের বিবস্ব অবস্থায় বিভিন্ন আংগিকে ছবি তোলে। ছবি ফেইসবুকে বা নানাভাবে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে।

গত বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে ল্যাব জোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সহকারী পরিচালক ময়নুল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ (দক্ষিনপাড়া) এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- শহরের পার-নওগাঁ দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের কন্যা শান্তা খাতুন (৩০), নিপা খাতুন (৩২) ও সন্ধ্যা খাতুন (১৯), বগুড়ার আদমদিঘী থানার কেল্লা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা রিয়া খাতুন, নওগাঁ সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ মন্ডলের পুত্র হারুন মন্ডল (৩৬), আজাহার আলীর পুত্র আরিফ হোসেন (২৫), আফজাল হোসেন মোল্লার পুত্র নুর ইসলাম নোবেল (২০) এবং আব্দুস সালামের পুত্র আশিক (১৯)।

উক্ত ময়নুল ইসলামকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাড়িতে ডেকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায়ের কৌশল অবলম্বন করে। কৌশলে সে থানায় জানালে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে ময়নুল বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে নওগাঁ শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকায় শিউলী ম্যানসনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকাকালীন সময় মঙ্গলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামকে এমন ফাঁদে ফেলে নগদ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে এবং ৮ লাখ টাকা দাবী করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। সে ব্যাপারেও একটি মামলা থানায় লিপিবদ্ধ রয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2018
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..