সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
সুলতান সুমন :: মির্জাপুর থেকে তরুনী রুমিকে বিশ্বনাথে এনে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ঘাতক শফিক মিয়া। আদালতে স্বীকারোক্তিকালে সে এ কথা স্বীকার করে। বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল প্রথম আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলামের আদালতে সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিকেলে আদালতে শফিকের জবানবন্দি গ্রহনের পর তাকে সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালত সূত্র।
পুলিশকে শফিক জানায়- ১০ই সেপ্টেম্বর ভোরে সে রুমিকে নিয়ে নিজ বাড়ি বিশ্বনাথে চলে আসে। তার ভাবী লাভলী তাদের ঘরে আশ্রয় দেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সে কয়েক দফা রুমিকে নিজ বাড়িতেই ধর্ষন করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সে ঘরের ভেতরে রুমি আক্তারকে হাত-পা বেধে ফেলে। এরপর বাড়ির পেছনের খালের পানিতে নিয়ে গিয়ে চুবিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ ফেলে দিয়ে রাতেই চলে যায় ছাতকে বোনের বাড়িতে। সেখান থেকে গাজিপুরের পথ ধরে সে।
সিলেটের বিশ্বনাথ থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা গতকাল জানিয়েছেন- ‘এমন অপরাধীর সংখ্যা বিরল। গ্রেপ্তারের পর সে একেক সময় একেক কথা বলে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে পুলিশকে। এক বছরের আগের ঘটনায়ও সে জড়িত থাকতে পারে আমরা সন্দেহ করছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তপর্ব শেষ হলেই আমরা ওই ঘটনা সম্পর্কেও প্রেস ব্রিফিং করবো।’ রুমি আক্তারের বয়স ১৬ বছর। সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার নগরভাত গ্রামের আতাউর রহমানে মেয়ে।
থ্যালাসেমিয়া রোগে’ আক্রান্ত ছিল রুমি বেগম। এ কারনে তাকে প্রায় সময় ডাক্তারের কাছে যেতো হতো এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হতো। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায়ই তার পরিচয় হয় বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শফিক মিয়ার সঙ্গে। শফিক মিয়া মির্জাপুরের নাসির গ্লাস ফ্যক্টরীতে কাজ করে। এরপর বিয়ের কথা বলে সে ওই দিনই রুমিকে নিয়ে আসে তার বিশ^নাথের বাড়িতে। হাসপাতাল থেকে রুমি নিখোজ হওয়ার পরদিনই ১০ সেপ্টেম্বর রুমির ভাই শফিকুল ইসলাম মির্জা থানায় নিখোজের জিডি দায়ের করেছিলেন।
বিশ্বনাথ থানার ওসি জানান- রুমি হত্যার ঘটনা প্রথমে পুলিশের কাছে এবং পরে আদালতে শফিক মিয়া স্বীকার করেছে। কীভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনাও দিয়েছে। ধর্ষনই হচ্ছে শফিকের নেশা। তার চারটি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেলে বাস্তবে আরো অনেক বিয়ে করেছে। এছাড়া- অনৈতিক সর্ম্পক গড়েছে বহু নারীর সঙ্গে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd