সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ছাত্রদলের অনুবেশকারী ধরা পড়ছে। রাজনীতিতে বিরোধী শক্তিগুলোর অবস্থান নাজুক হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে খোদ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের। আর দল ভারি করতে অনেক ছাত্রলীগ নেতা অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ছাত্রলীগ কোনো অনুপ্রবেশকারীকে প্রশ্রয় দেবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন সিলেটের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সংগঠনের শাখাগুলোর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেন। অনেকেই সংগঠনে আস্থার সংকট দেখা দেওয়ার কথাও বলেন। এভাবে চললে ‘হাইব্রিড ছাত্রলীগের’ ভিড়ে ‘প্রকৃত ছাত্রলীগ’ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে বলেও মন্তব্য তাদের। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের বিরাগভাজন হওয়ার আশংকায় গণমাধ্যমে সরাসরি বক্তব্য দিতে রাজি হননি ছাত্রলীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে এসব অভিযোগ আরও জোরদার হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে সিলেট ছাত্রলীগে এক ছাত্রদল নেতার অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। ঐ ছাত্রলীগ নেতা রানা আহমদ রুনু পূর্বে সিলেট ছাত্রদলে থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। এমনকি তিনি সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সমাজ সেবা সম্পাদক জাহেদ আহমদের গ্রুপে একজন সক্রিয় ছাত্রদল কর্মী হিসেবে ভূমিকাও পালন করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচী ও অনুষ্ঠানে রুনু’র যোগদান নিয়ে সিলেট রাজনীতিপাড়ায় বইছে নানা গুঞ্জন। রুনু’র দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি কাজিরখলা এলাকার মৃত তুরণ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় ভাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদারের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে। রুনু’র নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে ছাত্রদল থাকার সকল প্রমাণ মুছে ফেলেও যাদের সাথে রাজনীতি করত তাদের অনেকের আইডিতে তার সরকার বিরোধী বিক্ষোভের ছবি রয়েছে।
এ সব বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের পর ছাত্রলীগ করা ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় থাকার কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন ছাত্রলীগ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এ সংগঠনে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান নেই।
এব্যপারে ছাত্রদলের একটি সূত্র জানান, রুনু এক সময় ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলো। ছাত্রদল নেতা হিসেবে একটি মামলায় সে কারাগারে যায়। কারাগার থেকে বের হয়ে আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করে নি। বর্তমানে ছাত্রদলের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে রুনু ছাত্রলীগের কোন ইউনিটের সদস্য নয়, যদি এ ধরনের হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে ব্যবস্থা। আমাদের কাছে অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থান নেই।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রুম্মান আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিবেন। তবে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থান নেই। এরকম প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদের স্বার্থে যোগাযোগ করা হলে একাধিক নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছে কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ছাত্রলীগ তার লক্ষ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এখনও যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে ছাত্রলীগ প্রস্তুত রয়েছে।
এই বিষয়ে ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে যোগদানকারী রানা আহমদ রুনুর সাথে যোগাযোগ করলে কোন সদুত্তর মেলেনি। স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে তিনি তার স্বাধীনমতো যেকোন কাজ করতে পারেন বলে ফোনটি কেটে দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd