বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা, বিদ্যালয়েদেরীতে আসাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বিশ্বনাথের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদের ওপর। বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিংরাওলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিল্পী দে এমন অভিযোগ এনে তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে প্রকাশ :: সিংরাওলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদ ও একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শিল্পী দে ও কুমু রানী পালের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অশুভ আচরণ ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন। শিক্ষিকার অভিযোগ দায়েরের পর থেকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদ আরো বেশী মাত্রায় হয়রানী করছেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শিল্পী দে ও কুমু রানী পালকে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান ফয়ছল-কে কৌশলে ম্যানেজ করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদ ইচ্ছেমত বিদ্যালয়ে যাওয়া আসাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে দুই শিক্ষকের নিয়ম বহির্ভূত উপস্থিতি এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের গোপন তথ্য প্রকাশের অভিযোগে এনে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহীন আহমদ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে প্রকাশ : কুমু রানী পাল এবং শিল্পী দে দুজনই বিদ্যালয়ে দেরীতে আসেন। বিদ্যালয়ে দেরীতে আসার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দুই শিক্ষককে বললে তারা মন খারাপ করে। এরপর থেকে তারা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালায়।
এ ব্যাপারে সিংরাওলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান ফয়ছল বলেন, আমি কারো কথায় ম্যানেজ হওয়ার জন্য সভাপতি হইনি। আমি চাই আমাদের বিদ্যালয় সুন্দরভাবে পড়ালেখা হউক। শিক্ষকরা মিলেমিশে চলুক। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আমি উভয়ের দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেছেন, সিংরাওলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
Sharing is caring!