সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের ২টি ছড়া দিয়ে আজ বুধবার (২৬.০৯.১৮ইং) ভোর ৫টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মে.টন পাথর ও ১০০মে.টন কয়লা পাঁচার করা হয়েছে বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানায়,১ ট্রলি পাথর থেকে বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নামে ১৪০টাকা,১ বস্তা (৫০কেজি) কয়লা থেকে ১শত টাকা,নায়েক সাব্বিরের নামে কয়লা ও পাথর থেকে ৮০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ১ট্রলি পাথর থেকে ৫০টাকা,১ বস্তা কয়লা থেকে ৩০টাকা,সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ১ট্রলি পাথর থেকে ১০০টাকা,১বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা চাঁদা নিয়ে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী দুধের আউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার সহযোগী লাকমা গ্রামের ইদ্রিস আলী,বড়ছড়া গ্রামের ইসাক মিয়া,লাকমা গ্রামের শফি মেস্তুরীর ছেলে ল্যাংড়া বাবুল,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী,তিতু মিয়া,কালাম মিয়াগং লাকমাছড়া ও টেকেরঘাট ছড়া দিয়ে ভারত থেকে ১০০মে.টন কয়লা ও ২হাজার মে.টন পাথর পাচাঁর করে। তার মধ্যে পাচাঁরকৃত কয়লা পুটিয়া গ্রাম হয়ে নৌকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বিন্দারবন্দ গ্রামের নিয়ে মজুত করে এবং পাচাঁরকৃত পাথর ট্রলি দিয়ে লালঘাট ও ড্রাম্পের বাজার নিয়ে নৌকা বোঝাই করা হয়। অপরদিকে লালঘাট গ্রামের চোরাচালান কালাম মিয়া,জানু মিয়া, বাবুল মিয়াগং প্রতিরাতে অবাধে কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করছে এবং তারা নিজেরা মাদক সেবন করে এলাকাবাসীকে উত্যক্ত করছে। সেই সাথে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা,টেকেরঘাট বিজিবি ও পলিশ ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত লাকমা,বড়ছড়া ও লালঘাট গ্রামে বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারীরা প্রকাশে মাদকদ্রব্য বিক্রি করছে। এব্যাপারে বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী রমিজ উদ্দিন,বোরহান মিয়া,রাসেল আহমেদ,জুনায়েদ মিয়া,রাশিদুল ইসলাম,মানিক মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন,সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের সোর্সরা ওপেন চোরাচালান করে নামে বেনামে চাঁদা উত্তোলন করলেও প্রশাসন নিরব রয়েছে। এব্যাপারে চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন,আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে কলমের কালী শেষ করতে পারবেন কিন্তু কিছুই হবেনা। টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইমাম বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির,পুলিশের না। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আমিনুল হক বলেন,সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার জন্য আমি আমার সাধ্যমত চেষ্ঠা করছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd