রুদ্র বিজয় :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা পিয়াইন নদী থেকে চলছে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। শুধু কি তাই বালু উত্তোলন করতে আসা সুনামগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানের নৌকা সমূহ থেকে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। আর এসব চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছে নয়া বস্তি গ্রামের একটি সন্ত্রসী পরিবার। সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্য ও তাদের বাহিনী দ্বারা চলছে বেপরোয় চাঁদাজি। নির্বিচারে বালু লুটের ফলে একদিকে যেমন বিশাল সম্পদ বালুর পরিমান নদী শেষ হ্রাস পাচ্ছে, ঠিক তেমনি সরকারের ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত মেগা উন্নয়ন প্রকল্প জাফলং ব্রীজ পিয়াইন নদীর গর্ভে ধ্বশে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি ওয়াকিবহাল থাকলেও সন্ত্রাসী ওই পরিবারের সাথে থানা প্রশাসন সহ তাদের শেল্টার দাতাদের দহরম মহরম থাকায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা। সরজমিনে জানা যায়, একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে নয়াবস্তি এবং জাফলং ব্রীজের নিকট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। পূর্ব জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামের ইনছান আলীর পূত্র রেজওয়ান আহমদ রেজন, তার ভাই আলীম উদ্দিনের শেল্টারে ইউনুছ,শাহিন,মনির হোসেন সহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। পাশাপাশি এসব বালু উত্তোলন কারী নৌকা থেকে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলীম উদ্দিন, সেলিম, রেজনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় পাথর শ্রমিক হত্যা, চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, হত্যা, ছিনতাই সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। কিন্তু রেজওয়ান আহমদ রেজনের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার কোন শান্তিকামী মানুষজন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে মারপিট, নির্যাতন মামলা হামলার ভয় দেখানো হয়। যার ফলে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওই চক্র। চাঁদাবাজির বিষয়ে রেজওয়ান আহমদ রেজনের মোটোফনে যোগাযোগ করা হলে ক্রাইম সিলেটকে সে বলে আমি চাঁদাবাজি করিনা। গোয়াইনঘাটের মুজিব নামের এক লোকর এসব দেখেন। ওই মুজিবই চাঁদা তোলেন। অন্য এক প্রশ্ন করলে ক্রাইম সিলেটকে কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেন।
এদিকে গত বুধবার অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭জনকে আটক সহ ৫ টি নৌকা জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। আটককৃত ব্যক্তিদের বালু মহাল এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ২০১০ মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাফলং ব্রীজটি গোয়াইনঘাট বাসীর সম্পদ, তাই সম্পদটি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসা এবং ব্রীজের নিকট থেকে যেন কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সচেতন মহলের সহযোগিতা চায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশিকুর রহমান চৌধুরী ক্রাইম সিলেটকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।