সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্লিপের টাকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনেক স্কুলে টাকা উত্তোলনের তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাজ করা হয় নি। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বা স্কুল লেভেল ই¤প্রæভমেন্ট প্যান্ট (শ্লিপ)-এর টাকা হরিলুট হয়েছে দোয়ারা বাজারের বিভিন্ন স্কুলে। এছাড়াও কোন কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নামমাত্র কাজ করে দায় সেরেছেন। আবার কোন কোন প্রধান শিক্ষক জোড়াতালি কাজ করেই টাকা হজমের চেষ্টা করেছেন।
জানাযায়,জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৯৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় গত অর্থ বছরে ৪০হাজার করে শ্লিপের টাকা বরাদ্দ পায়। এতে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৮লাখ টাকা। বরাদ্দের সমুদয় টাকা পাওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও কাজ শুরু করেন নি বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠান। অথচ সকল বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে গত ৩০জুনের মধ্যে। দাপ্তরিক নির্দেশনা ছিল নিজেদের টাকা দিয়ে ৩০জুনের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ সম্পাদন করে বিল উত্তোলন করার। এ নির্দেশনাও মানা হয়নি।
অন্যদিকে,কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু হলেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,২০১৭-২০১৮অর্থ বছরের দোয়ারাবাজার উপজেলার ১০৪টি সরকারী বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৫টি প্রতিষ্ঠানে শ্লিপ ফান্ডে স্কুল লেভেল ইমপ্রæভমেন্ট প্যান্ট এর আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয় ৪০হাজার টাকা করে বরাদ্দ পায়। যেখানে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ,প্রয়োজনীয় উপকরন,বিদ্যালয়কে আর্কষণীয় করন এবং প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য পাটের মাদুল,শিশু শ্রেনীর জন্য শ্রেণী কক্ষ,আকর্ষণীয় করার জন্য প্রতি বছর ৫হাজার টাকা করে মোট ৫লক্ষ ২০হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারী বিধি মালায় এসকল কাজের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু কাজীর গরু কিতাবে আছে,গোয়ালে নেই। আরো জানায়,উপজেলার ইদুকোনা,হকনগর,গাছগড়া,আলমখালী,বালিছড়া,কাঠালবাড়ী,পেকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পেস্কারগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিদ্যালয় গুলোতে কিছু কাজ করা হলেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করাই হয় নি। এছাড়া পুরাতন কাজ গুলোকে নতুন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোক জন জানান,প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি হলিরুট করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাধিক প্রধান শিক্ষকগন জানান,সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকেন বিদ্যালয় সজ্জিত করার জন্য কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হওয়ায় আমরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পারি না। আবার উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস ও শিক্ষা অফিসে ভাগ দিতে হয়। শিক্ষক সমিতির নামে ২%টাকা দিতে হয়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ভালো কাজ হয়েছে তবে উপজেলার বেশীর ভাগ বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই নাজুক অবস্থা। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে তিন বছর শ্লিপের কোন কাজ হয়নি,হলেও নামে মাত্র হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,কিছু কিছু শিক্ষক চুর তাদের চুরি ঢাকতেই ঘুষ দিয়ে থাকতে পারেন,চুর শিক্ষকদের শাস্থি দাবি করেন।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক বলেন শ্লিপ প্রকল্পের টাকার কাজ প্রতিটি বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা,শ্লিপ প্রকল্পের কাজে কোন বিদ্যালয়ে অনিয়ম পাওয়া গেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd