সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন মনরতল গ্রামে জনৈক মইন উদ্দিনের স্ত্রী সফা বেগম ও যুবতী মেয়েরা দীর্ঘদিন যাবত দেহ ব্যবসা করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ দেহ ব্যবসার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদে এগিয়ে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, ভয় ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে এই চক্র। তার চক্রের পরামর্শ অনুযায়ী সফা বেগম বেআইনী বাড়ি ছাড়া করার চেষ্টার অভিযোগ এনে গত ২৭ আগস্ট গোয়াইনঘাট থানায় উপজেরা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-১০৯০) করেন। সাধারন ডায়েরী করার পর থেকে আইনের বেড়াজালে আটকা পড়ে যান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন-সহ সংশ্লিষ্টরা। এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয় তোলপাড়। এর আগে মইন উদ্দিনের মেয়ে বাদী হয়ে এলাকার ১১ জন লোককে আসামী একটি মিথ্যা মামলা করে যার নংÑ১৯২/১৬। এ মামলা এখনও চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। মনরতল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে জনৈক মইন উদ্দিনের স্ত্রী, মেয়ে শারমিন বেগম (২৬) ও সেবিন বেগম (২২)। এদিকে, দেহ ব্যবসা বন্ধে এলাকার অনেকে চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে অসামাজিক কার্যক্রম। অন্যদিকে এলাকার যুব সমাজ এই চক্রের কবলে পড়ে টাকা-পয়সা খোয়াচ্ছে। নির্ভর যোগ্য সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , থানা পুলিশের সাথে দেহ ব্যবসায়ী চক্রের সখ্যতা থাকায় রহস্য জনক কারণে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।
সম্প্রতি মইন উদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশ বৈঠক বসে এবং ওই বৈঠকে মইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী সফা বেগম বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সিন্ধান্ত নেন। তাদের নেওয়া সিন্ধান্ত অনুযায়ী ক্ষেতের জমিসহ বাড়ির মূল্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়। এতে সফা বেগম ও তার পরিবার সন্তুষ্ট হয় এবং তখন জনৈক ফখর উদ্দিনের কাছে এই দামে যায়গা জমি বিক্রি করা হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফখর উদ্দিনের কাছ থেকে বাড়ির মূল্যের অগ্রীম ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে সফা বেগমকে দেয়া হয়। বাকি টাকা গ্রহণ করে ফখর উদ্দিনকে বাড়ির দখল সমঝে দিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সফা বেগম নিজে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে বলে। সালিশে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও মেম্বার আব্দুল মুমিন মুন্সি-সহ মাতব্বরগন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক শালিস ব্যক্তিত্ব বলেন, মনরতলে মইনউদ্দিন তার স্ত্রী সফা বেগম , মেয়ে সেবিন ও শারমিনদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে এসব কার্যক্রম বন্ধে বার বার অনুরোধ করেছি। কিন্তু সে আমাদের কথায় কোন কর্নপাত করেনি। আমাদের ছেলে-মেয়েরাও এলাকায় চলাফেরা করতে পারছেনা। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, একজন মহিলা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ এনে কমমূল্যে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, বলে মইন উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এসআই পিযুষ কান্তি দাস জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আদালতের অনুমতিক্রমে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd