বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিয়ের ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম স্বপ্না শাহিন ও রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরসহ চারজনকে। রবিবার সকালে তাদেরকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার। শোকজ হওয়া অপর দু’জন হলেন রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য শামীম আহমদ ও প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল। এর সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, কনের পিতা ও বরের বিরুদ্ধে মামলা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম স্বপ্না শাহিন, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর ও প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল শোকজ নোটিশ পাননি বলে জানান। স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আহমদের ব্যবহৃত গ্রামীনফোন নাম্বারে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে, স্থানীয় প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে সদর ইউনিয়নের পূর্ব মন্ডল কাপন গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে, লন্ডন প্রবাসী সিলু মিয়া চন্দনের বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হযেছে-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি বরাবরে এমন অভিযোগ দেন বিশ্বনাথের গাঁও গ্রামের মৃত মদরিস আলীর ছেলে আহমদ আলী। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে ঠেকায়নি প্রশাসন। ওইদিন রাতেই কৌশলে সিলেট শহরে গিয়ে ভুয়া জন্ম সনদের মাধ্যমে জনৈক আইনজীবির বাসায় বিয়ে সম্পন্ন করেন উভয়পক্ষের কয়েক আত্মীয়স্বজন।
Sharing is caring!