বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে কথিত ডাক্তার এমএ রহিমের ভুল চিকিৎসায় ২০মাস বয়সী শিশু তানভীর আহমদের মৃত্যুর পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও মামলা দেয়নি পরিবার। এ নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি আপোষে নিষ্পত্তি অপচেষ্টা চালানোর কারণে মামলা দায়েরে কাল বিলম্ব করছে তানভীরের পরিবার। এই ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন রহিম মেডিকেল সেন্টারের কথিত ডাক্তার এমএ রহিম। তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে তার রহিম মেডিকেল সেন্টার।
এদিকে, পোস্টমর্টের পর তানভীর আহমদের লাশ শুক্রবার তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যার পর জানাজার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে তানভীরের একমাত্র চাচা রুহুল আমিনের সাথে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কথা হলে তিনি বলেন, আজই (সোমবার) আমরা মামলা দিচ্ছি। লাশ দাফন ও অন্যান্য কারণে অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় শিশুর অভিভাবক অভিযোগ না দিলে পুলিশ বাদী হয়ে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দেবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের টিলা মামনপুর (মোহাম্মদপুর) গ্রামের প্রবাসী মরতুজ আলীর ২০মাস বয়সী কনিষ্ঠ পুত্র তানভীর আহমদের খতনা দিতে তাকে নিয়ে উপজেলা সদরের পুরান বাজার কলেজ রোডের রহিম মেডিকেল সেন্টারে আসেন তার মা লিলি বেগম। এসময় সেন্টারের মালিক কথিত ডাক্তার এমএ রহিম খতনা দেয়ার পূর্বে তানভীরের পুরুষাঙ্গে এনেসথেসিয়া ইনজেকশন পুশ করেন। সাথে সাথে তার শরীরে খিচুনী উঠে এবং নাকমুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসাটি তার ‘সাধ্যের বাইরে চলে গেছে’ জানিয়ে তানভীরকে সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন কথিত ডাক্তার এমএ রহিম। সেখানে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে ওইদিন রাতেই শিশু তানভীরের লাশ নিয়ে অভিযোগ দিতে থানায় আসেন তার মা লিলি বেগমসহ স্বজনেরা। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে পোস্টমর্টেমের জন্যে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
Sharing is caring!