সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল যেন নিজেই রোগি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাপদসহ বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য, রয়েছে আরও নানা সংকট।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নেই, ভেটেরিনারি সার্জন, অফিস সহায়কসহ একাধিক পদ খালি হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন থেকে। এসব গুরুত্বপুর্ন পদ খালি থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কৃষক ও গবাদিপশু পালকরা।
উপজেলার একমাত্র এ প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার কারণে উপজেলার সর্বত্র গবাদী পশু, হাঁস, মুরগিসহ গৃহ পালিত পশু পাখির মৃত্যুর হার বেড়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাসহ মোট ১১ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন। শূন্যপদগুলোর মধ্যে রয়েছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ১ জনের মধ্যে ১জন,ভেটেরিনারি সার্জন ১জনের মধ্যে ১জন, ইউএলএ ১ জনের মধ্যে ১জন, ভিএফএ ৩ জনের মধ্যে আছেন ১ জন (২জন শুন্য), এসএএআই ১ জনের মধ্যে ১জনই শূন্য,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জনের মধ্যে ১জন, ড্রেসার ১ জনের মধ্যে ১ জনই শূন্য রয়েছে। এছাড়াও কম্পাউন্ডার পদে কর্মরত লাভলী বিশ্বাস রয়েছেন প্রশিক্ষনে।
সরজমিনে দেখা যায়, একমাত্র কর্মরত ব্যক্তি ভিএফএ মোঃ হোসেন। সদ্য বিলুপ্ত হওয়া ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসুচির বরাদ্ধকৃত একজনকে সহযোগি হিসেবে নিয়ে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কখনো গৃহস্তের নিয়ে আসা গবাদি পশু ইনজেকশন পুশসহ ওষুধ প্রদান করছেন,আবার কখনো ফ্রিজে রাখা ভ্যাকসিন সরবরাহ করছেন। সেবা প্রত্যাশীদের পরামর্শ প্রদান কিংবা উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনাময় ফোন রিসিভ,খাতায় রেজিষ্ট্রি মেনটেইনসহ সব দৌড়ঝাপ সারছেন একা।
এ ব্যাপারে মো. হাসান বলেন, ভাই সরকারের সেবামুলক প্রতিষ্টানে চাকরি। এটা আমার দায়িত্ব্ আমাকে তা পালন করতেই হবে। লোকবল না থাকায় একটু বেশি পরিশ্রম করছি। তবে এটা দ্রুত লাঘবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন বলে আমরা আশাবাদি।
রোবাবর রোগাক্রান্ত গাভীর সেবা নিতে আসা লেঙ্গুড়া গ্রামের আজাদুর রহমান জানান, ৩ দিন থেকে আমার গাভী বাত আক্রান্ত। প্রতিদিনই এখানে আসি। এসে শুনি দায়িত্বরত ডাক্তার নাই। যিনি আছেন তিনি কারো বাড়িতে গেছেন মুমুর্ষ কোন পশু চিকিৎসা দিতে। আমাদের এ ভোগান্তি দ্রুত সমাধান দরকার। না হলে পশু চিকিৎসাসেবা ব্যাহতের পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুনবেন ও পশু পালনে নিরুৎসাহি হবেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট প্রানী সম্পদ হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, লোকবল সংকটে চরম ভোগান্তিতে আছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল। কম্পাউন্ডার প্রশিক্ষনে চলে যাওয়ায় এ সংকট আরও ঘণিভুত হয়েছে। বিভিন্ন পদে বিরাজমান লোকবল সমস্যা সমাধান না হওয়ায় হাসপাতালটি যে কোন সময় তালা ঝুলিয়ে রাখার উপক্রম হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.আতিয়ার রহমান জানান, এ সমস্যা নিয়ে বার বার আমাদের ডিজি মহোদয়কে অবহিত করেছি। এখনো প্রায় প্রতিদিনই করছি। তবুও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বার বার শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি, লোকবল পাচ্ছি না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd