সিলেটের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ছেলেসহ রাগীব আলীর জামিন

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০১৮

সিলেটের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ছেলেসহ রাগীব আলীর জামিন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ভূমি আত্মসাৎ এবং জালিয়াতির মামলায় সিলেটের বিতর্কিত ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট।

সোমবার (৮ অক্টোবর) হাই কোর্টের বিচারপতি শওকত হোসেইন এক রিভিশন পিটিশনের প্রেক্ষিতে তাদের ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করেন বলে নিশ্চিত করেন রাগীব আলীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি।

তিনি জানান, গত ৯ আগস্ট সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিকের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিভিশন দাখিল করেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই। রিভিশনের শুনানি শেষে আদালত আজ তাদের এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এসময় ব্যারিস্টার কাফি ছাড়াও রাগীব আলীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক।

প্রসঙ্গত, মামলার সূত্রে জানা যায়, দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারি আদেশ সৃজনের অভিযোগে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আব্দুল কাদের। এছাড়া সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন তিনি। এই মামলায় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম রায় দেন। রায়ে তাঁদের বিভিন্ন ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এই মামলার বিরুদ্ধে রাগীব আলী উচ্চ আদালতে গেলে দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের শুরুতে তার নিষ্পত্তি হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে তারাপুর চা-বাগান দখল করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা ছয় মাসের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশের পর একই বছরের বছরের ১৫ মে চা-বাগানের বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়াও ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।

মামলা হওয়ার ১১ বছর পর ২০১৬ সালের ১০ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত সুপার সারোয়ার জাহান আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে তারাপুর চা বাগান আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জাল করেন। এই মামলার দুই আসামীই জেল হাজতে রয়েছেন।

ওই বছরের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ওই দিনই জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান তিনি। এরপর ১২ নভেম্বর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে গ্রেপ্তার করে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশ। আর ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ২৪ নভেম্বর ভারতে গ্রেপ্তার হন রাগীব আলী। ওই দিনই সিলেটের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে তাকে তাকে দেশে এনে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

স্মারক জালিয়াতি মামলা ছাড়াও রাগীব আলী ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তারাপুর চা বাগানের ভূমি আত্মসাতের আরেকটি মামলায়ও সাজা প্রদান করা হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..