সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পরকীয়া প্রেমের টানে এক বছর আগে বাড়ি ছাড়া আছিয়া (১৮) নামে এক গৃহবধূ তিন মাসের শিশু সন্তান নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন। তবে এ ফিরে আসা তিন বছর সংসার করা স্বামীর ঘর কিংবা বাবার বাড়িতে নয়, এসেছেন প্রেমিক জুবায়েরের ঘরে। আর শিশু সন্তানটির বাবাও নাকি জুবায়ের। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের কাশতলা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে উপজেলার বন্ধকুলিয়া গ্রামের মৃত কাজী ফজলুর রহমানের ছেলে কাজী তৌহিদ হাসান রিপনের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার সাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ কারীর মেয়ে আছিয়া খাতুনের। বিয়ের পর বেশ ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন আছিয়া।
প্রেমিক জুবায়েরের বাড়ি উপজেলার কাশতলা (সাতাইপাড়া) গ্রামে তার দেখা মেলে। শিশু কোলে আছিয়াকে দেখে জুবায়েরের বাড়ির লোকজন প্রথমে মনে করেছিলেন হয়তো ছেলের সঙ্গে বেড়াতে এসেছে। কিন্তু আছিয়াকে জুবায়ের বিয়ে করেছে জানতে পেরে পরিবারসহ বাড়ির সবাই হতবাক।
আছিয়া খাতুন বলেন, আগের স্বামী রিপন আমাকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতেন। এ কথা আমি কাউকে বলিনি। এ অবস্থায় একদিন মোবাইলে জুবায়েরের সঙ্গে পরিচয় হয়। গড়ে ওঠে গভীর প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের টানে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে আসি কালিহাতী। জুবায়েরকে জানাই আমি সব ছেড়ে চলে এসেছি। এরপর সেখান থেকে তার হাত ধরে বগুড়ায় চলে যাই। সেখানে দূর সম্পর্কীয় এক আত্মীয় সবুজের বাসায় দুই মাস থেকেছি। পরে বগুড়া নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বগুড়া থেকে চলে এসে আমরা বাড়ির কাছে হামিদপুর বাজারে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করি। আমি আমার পরিবারের সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
জুবায়েরের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, আমার ছেলে হামিদপুর বাজারে রং মিস্ত্রির কাজ করে। বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকে। সে যে বিয়ে করেছে এ কথা বাড়ির কেউ জানে না। ছেলেও আমাদের কিছু বলে নাই। এমনকি এলাকাবাসীও জানে না।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd