বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে শিশুকন্যাকে অপহরণকালে জনতার হাতে এক অপহরণকারি আটক হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দেড়টার সময় উপজেলার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের রাস্তায় ওই অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত অপহরণকারি হবিগঞ্জ জেলার ফতেহগাজী গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র নাজিমউদ্দিন (২২)। আর অপহৃত ওই শিশুকন্যা হচ্ছে বিশ্বনাথ উপজেলার ছত্রিশ নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবহানের মেয়ে শাহেনা বেগম (৯)। এঘটনায় শাহেনা আতংকিত হয়ে পড়লে তার শরীরে জ্বর চলে আসে।
খবর পেয়ে বিকেল ৪টার সময় মিয়াজানের গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জনতার হাত থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শিশু কন্যা শাহেনা বেগম জানায়, ওই অপহরণকারিকে সে চিনেনা। মিয়াজানেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরতী হলে সে বাড়িতে রওয়ানা হলে রাস্তায় নিজামউদ্দিনের সাথে তার দেখা হয়। এসময় নিজাম উদ্দিন শাহেনা বেগম’কে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ওই তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে জনতা উত্তর মীরেরচর গ্রামের আহাদ মিয়ার বাড়ির সামন থেকে তাকে ও ওই শিশুকন্যাকে আটক করে স্কুলে নিয়ে যান।
শিশু কন্যার দাদি আনোয়ারা বেগম জানান, তার ছেলে মারা যাওয়ার পর শিশু কন্যা শাহেনা বেগম মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পথেরগাঁও গ্রামে তার মায়ের সাথে থাকতো। তার মা একজন অন্ধ মহিলা হওয়ায় প্রায় মাসখানের পূর্বে শাহেনা বেগম’কে তার কাছে নিয়ে আসেন। পাশাপাশি পড়ালেখার জন্য ওই স্কুলে যাওয়া আসা করতো। কিন্তু হঠাৎ করে অপহরনকারি নাজিমউদ্দিন রাস্তা থেকে শাহেনাকে অপরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বলেন অপহরণকারি মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের দীর্ঘদিন বসবাস করেছে। প্রায় ৮/৯মাস পূর্বে সে এই বাড়ি থেকে চলে যায়।
এব্যাপারে ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহরণকারি বলেছে, শাহেনা বেগমের মা তার মেয়েকে নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে তিনি দেখছেন।
Sharing is caring!