সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: অনিয়ম আত্মসাত চাপা দিতে ও জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ রক্ষার্থে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিলেন সরকারী হাসপাতালের অফিস সহকারী নূর মোহাম্মদ। কর্তৃপক্ষীয় অনুমতি ছাড়াই মামলা টুকিয়ে দিয়েছেন দুই মিডিয়া কর্মীর বিরুদ্ধে। তথ্য গোপন ও মিথ্যা বয়ানে মামলা দায়ের নিয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলটি করেন সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল সিলেট-এর অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার অপারেটর নূর মোহাম্মদ। নূর মোহাম্মদ নগরীর শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার ৭ নং রোডের ২নং বাসার বর্তমান বাসিন্দা ও মৃত ওয়ার্ড বয় মো: মুসলিম খলিফার পুত্র। তার মূল বাড়ি বরিশালে। মিথ্যা তথ্য ও বয়ানে মামলা দায়েরের পর কর্তৃপক্ষ বরাবরে তার বিরুদ্ধে পাল্টা আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সাবেক ওয়ার্ড বয়-এর পুত্র হওয়ার সুবাদেই নূর মোহাম্মদের সরকারি চাকরি। উপজেলা থেকে সিলেট জেলা ও বিভাগীয় সদরে বর্তমানে স্থায়ী অবস্থান তার। মাত্র পাঁচ বছর আগে অফিস সহকারি পদে সরকারি চাকুরি নেয়া নূর মোহাম্মদ এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বিভাগীয় সদর সিলেট মহানগরে বিলাসবহুল একাধীক বাড়ি ও গাড়ির মালিক তিনি। তার জ্ঞাতআয় বহির্ভুত এ সম্পদের তথ্য উদঘাটনে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি অনলাইন ও পিন্ট মিডিয়া। প্রতিবেদন প্রকাশের পর কিং কর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন সরকারি হাসপাতালের অফিস সহকারি নূর মোহাম্মদ। দৌড়ঝাপ শুরু করেন বিভিন্ন মিডিয়ায়। কিন্তু সবার একই প্রশ্ন আপনার এতো আয়ের উৎস কি ? তাই কোথাও ঠাঁই না পেয়ে অবশেষে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। নিজের সম্পর্কে ভুয়া ও অন্যান্য বিষয়ে অলীক তথ্য দিয়ে দুই মিডিয়া কর্মীর বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মানহানীর একটি মামলা করেন। যা সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি সিআর মামলা নং ১৩২৭/২০১৮। সরকারি চাকরিজীবি হওয়া সত্বেও মামলায় বাদী নিজের বয়স পর্যন্ত ঠিক করে জানাতে না পারায় তার এ মামলা নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে মিথ্যা বয়ানে মামলা দায়ের করায় অফিস সহকারি নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বুধবার (১৭অক্টোবর) পাল্টা আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেলের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd