সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০১৮
রূদ্র বিজয় :: মাসে হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে সহস্রাধিক অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা চলছে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কে। এসব অটোরিক্সার নেই কোন নম্বর প্লেট, রোড পার্মিট কিংবা কোন কাজগপত্র।
চালকরা একটি টোকেন দিয়ে সড়ক ব্যবহার করছে। পুলিশকে দেয়ার কথা বলে শ্রমিক সংগঠন প্রতিমাসে টোকেন প্রতি আদায় করছে পাঁচ’শ থেকে এক হাজার টাকা। শ্রমিকরা জানান, এই টোকেন সঙ্গে থাকলে তাদেরকে আটকায়না পুলিশ।
আগে সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল করলেও সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় পর থেকে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। বর্তমানে এই সড়কের একমাত্র পাবলিক যান সিএনটি অটোরিক্সা।
সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে সিলেট শহরে যাতায়াত করেন।
কিন্তু এ সড়কে চলাচল কারী ৯০ ভাগ অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন কিংবা কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। নম্বর বিহীন কয়েকটি অটোরিক্সা থামিয়ে কাগজপত্র দেখতে চাইলে চালকরা একটি টোকেন ধরিয়ে দেন।
টোকেনে লেখা পুলিশ ডিউটির জন্য! এর অর্থ জানতে চাইলে চালকরা জানান, এই টোকেন সড়কে চলাচলের বৈধতা। টোকেন থাকলে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
চালকরা রাস্তায় ব্যবহারে ৫শ’ থেকে ১হাজার টাকা দিয়ে মাসে মাসে টুকেন সংগ্রহ করেন। শ্রমিক নেতাও স্বীকার করেন টুকেনের বিনিময়ে টাকা নেয়ার কথা।
আম্বরখানা-সালুটিকর শাখা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন নৌসাদ বলেন, ‘৫০০ টাকা নেওয়া হয় না। নেওয়া হয় ৪০০ টাকা। সংগঠনের পেছনে কিছু ব্যয় আছে।’
অবশ্য পুলিশের কোন সদস্য টাকা নেয়ার সাঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এসএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এম,এ ওয়াহাব। সেই সঙ্গে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সেরও ঘোষণা দেন তিনি।
সিলেটে সিএনজি অটো রিক্সার লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। লাইসেন্স চালু করলে বন্ধ হবে অবৈধ অটোরিক্সার দৌরাত্ম সেই সঙ্গে সরকার পাবে রাজস্ব এমন মত পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd