দিন মজুর আলী আহমদের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিলেন ওসমানী মেডিকেলের পরিচালক

প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮

দিন মজুর আলী আহমদের চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নিলেন ওসমানী মেডিকেলের পরিচালক

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন জকিগঞ্জের বিরশ্রী ইউনিয়নের লাফাকুনা গ্রামের সৈকত আলীর পুত্র দিন মজুর আলী আহমদ (৩০) এর চিকিৎসার সকল ব্যায়ভার বহন করার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক। সিলেটস্থ জকিগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আহসান হাবিব এর কাছ থেকে দিন মজুর আলী আহমদের আর্থিক অসহায়ত্বের বিষয় জেনে রবিবার সকালে হাসপাতালের ৪র্থ তলায় ৫ নং ওয়ার্ডের ২৫ নং বেডে ভর্তি আলী আহমদ এর চিকিৎসার ব্যয় তিনি নিজ উদ্যোগে বহন করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। হাসপাতালের পরিচালক কর্তৃক এমন আশ্বাস পাওয়ায় আলী আহমদ এর অসহায় পরিবারে আশার আলো ফিরে আসে।

জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার লাফাকোনা গ্রামের সৈকত আলীর পুত্র দিন মজুর আলী আহমদ ধানভাঙ্গার মেশিনে ধান ভাঙ্গতে গিয়ে মেশিনের সাথে লঙ্গি পেছিয়ে তার সম্পন্ন লিঙ্গ কেটে যায়। পরবর্তীতে গত ১১ অক্টোবর সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিক অপারেশনের মাধ্যমে আলী আহমদের কর্তনকৃত লিঙ্গ জোড়া লাগালেও এর প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র কেনার সামর্থ ছিল না পরিবারের। অপরেশনের পর থেকে তার প্রতিদিন প্রায় ৫/৬ হাজার টাকার ঔষধ প্রয়োজন ছিল। এ অবস্থায় দিন মজুর আলী আহমদের অসহায় পরিবার দারস্থ হন সিলেটস্থ জকিগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ এর কার্যালয়ে গিয়ে তার অসহায়ত্বের কথা বলেন। এসময় সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি আহসান হাবিব বিষয়টি মোবাইল ফোনে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক কে জানালে তিনি সাথে সাথে আলী আহমদ এর চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। রবিবার সকালে আলী আহমদের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসার সকল ব্যয় তিনি নিজ উদ্যোগে বহন করবেন বলে জানান।

সিলেটস্থ জকিগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক একে মাহবুবুল হক এখানে যোগদানের পর থেকেই অসহায় রোগী দের সু-চিকিৎসার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন। তাঁর কর্মতেই সিলেটবাসীর অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। দিন মজুর আলী আহমদ এর করুনকাহিনী শুনার পর তিনি চিকিৎসার খোঁজ খবরের পাশাপাশি ঔষধপত্রসহ সকল ব্যায়ভার নিজ থেকে বহন করার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। অসহায় পরিবারে আশার আলো ফিরে এসেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..