সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এইচ এম সুলতান মাহমুদ :: গোয়াইনঘাট (সিলেট) থেকে :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে প্রার্থীদের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে ২৩২- সিলেট ৪ আসনের (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা) নির্বাচনী প্রস্তুতি অন্যরকম। এ আসনে প্রবীণদের চেয়ে নবীনেরা প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। যেহেতু সিলেট ৪-আসন বাংলাদেশের বৃহৎ ১টি আসন। পর্যটনকেন্দ্রসহ খনিজ সম্পদে ভরপুর এ আসন। এই আসনে ৪৬ বছরের বাংলাদেশে কখনো স্থানীয় কোনো প্রার্থী সংসদে যেতে পারেনি।
এটা এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভাগ্য বলে মনে করেন অনেকেই। কেউ বা পূর্বপুরুষের কোনো অভিশাপ ও মনে করেন। যাইহোক সময়ের পালাবদলে শতাব্দীর প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন ‘জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’ ২০ সেপ্টেম্বর সিলেট ৪-আসনে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে সিলেট জেলা জমিয়তের বারবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহকারী মহাসচিব শায়খুল হাদীস আতাউর রহমানকে।
তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবে, ৩ অক্টোবর ১৮ইং তারিখে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে এবং ৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখানে তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যেহেতু ২০দলীয় জোটের সাথে আছে, তাই আমরা জোটের স্বার্থে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে তাদেরকে এম সাইফুর রহমানের নির্দেশে ছাড় দিয়েছি এবং এমপি সেলিমের পক্ষে কাজ করেছি। উপজেলা, ভাইস ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপিকে আমরা ছাড় দিয়েছি। এমনকি সিলেট সিটি নির্বাচনেও একমাত্র জমিয়ত-ই আরিফের পক্ষে কাজ করে জোটের স্বার্থে। তাই জোটের স্বার্থে ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও খনিজ সম্পদে ভরপুর জন্মমাটির মানুষের অধিকার আদায় এবং তাদের সুখ দুঃখের কথা বলতে মহান জাতীয় সংসদে যেতে চাই। বঞ্চিত জনসাধারণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ও সমাজসেবার ব্রত নিয়ে, এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে (কর্ম, ধর্ম, যোগাযোগ ও শিক্ষাব্যবস্থায়) কাজ করতে আমি সংসদে যেতে চাই। তিনি আরোও বলেন, সারা দেশে সিলেট ৪ আসনে জমিয়তের ১টা ভোট ব্যাংক রয়েছে।
কেননা বৃহত্তর জৈন্তার বেশিরভাগ জনসাধারণ ধর্মপ্রাণ ও আলেম উলামা ভক্ত। তার প্রমাণ হলো ১৯৯৬ সালের উপনির্বাচনে জমিয়ত প্রার্থী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী ১৯ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তাই তিনি ২০দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী। এরপর থেকে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ ও মিছিল মিটিং করে যাচ্ছেন। জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে গণসংযোগ ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যান। ২১ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোয়াইনঘাটের ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের লামাই মাদরাসা, মনাইকান্দি মাদরাসা, বগলকান্দি মাদরাসা ও জয়নগর মাদরাসা এবং রুস্তমপুর ইউনিয়নের হাদার মাদরাসায় গিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এবং তারি সাথে মাতুরতল বাজার, মনাইকান্দি বাজার, ইসলামাবাদ ও হাদারপার বাজারে বিশাল গণসংযোগ করেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd