সিলেট ৩০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: বাংলাদেশের প্রধান নদীসমূহের অন্যতম সুরমা নদী। এটি উত্তর পূর্ব ভারতের বরাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে বিভক্ত হয়ে যায়। আসামের নাগা মণিপুর অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে নদীটি দুই শাখা সুরমা-কুশিয়ারায় বিভক্ত হয়ে কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে। কানাইঘাট উপজেলায় প্রতিটি ইউপির গ্রাম ও হাট-বাজারের পাশ দিয়ে সুরমা নদীর অবস্থান হওয়ায় ঘাতক সুরমা নদীর ভাঙ্গনে উপজেলার প্রতিটি ইউপির লোকজন ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা। সুরমার নদী কানাইঘাট উপজেলায় গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার কারনে ঘাতক হয়ে দাড়িয়েছে সুরমা নদী প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রামের লোকজন সুরমার ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি হারাতে হচ্ছে। লোকজনের বাড়ি ঘর নদীর তীরবর্তী থাকায় সুরমার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ইতিমধ্যে অসংখ্য বাড়ী ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ভিটা বাড়ী হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেকে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিতরে অবস্থিত গ্রামের অধিকাংশ বাড়িঘর সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত। সুরমা নদীর পাড় দিয়ে কানাইঘাট পৌরসভার ডালাইচর, গৌরিপুর, কুওরঘড়ি, ৬নং সদরের সুতারগ্রাম, গোসাইনপুর, সোনাপুর, বীরদল বাজার, ছোটদেশ বাজার ৭নং দক্ষিণ বাণী গ্রাম ইউপির বড়দেশ বাজার, কায়স্তগ্রাম, বাউরভাগ, উজানীপাড়া, ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির ভিতরে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ বাড়ীঘর সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত তার মধ্যে ফালজুর, মজুমদার মাটি, বীরদল বাজার। ৪নং সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া, কানাইঘাট পৌরসভার গরিপুর, উপজেলার প্রাচীনতম ও যাতায়তের রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। হাজারো লোকজনের ভিটা বাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের রাস্তা সুরমার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে সুরমা নদীর থাবায় বাড়ী-ঘর গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সা¤প্রতিক সময়ে নদী ভাঙ্গন আরো তীব্র আকার ধারণ করায় অনেকের বসত বাড়ী ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ঘাতক সুরমা নদীর ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি ছাড়া হচ্ছে হাজারো লোকজন অধিকাংশ লোকজনের ঘরবাড়ী নদীর পাড়ে থাকার কারনে প্রতিদিনই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর, কৃষক, শ্রমিক খেটে খাওয়া লোকজন। এসব অসহায় লোকজন ঘর বাড়ী হারিয়ে আজ তারা দিশেহারা। এনিঃস্ব লোকজনরা কোথায় ঠাই নিবেন। প্রতিবছর বন্যার কারনে নতুন করে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডে নদী ভাঙ্গন রোধে কানাইঘাটে কোটি কোটি টাকার কাজ করালেও সুরমা নদীর ভাঙ্গন থেকে রেহাই পাওয়া পাচ্ছেন না। এবিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd