সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে প্রায় মাসতিনেক ধরে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে মৌসুমি সবজির আধিক্য। সামনে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির পর্যান্ত সরবরাহ দেখা যায়। বাজারে এখন ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি। শীম এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। বাধাঁকপি মিলছে ২০ টাকায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে আসা নতুন আলু ৩০ টাকা, পুরাতন আলু ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকা, কচুর মূখি ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকা। কলমি শাক, লাল শাক, পালং শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকায়।
বাজারে মাছের সরবরাহও বেড়েছে। ৮শ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতিকেজি রুই মাছ ২শ টাকা থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ হাজার টাকা, গলদা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে। কক মুরগি প্রতি পিস ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৪৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও মসলা দাম। প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪৫ টাকা, মুরগির ডিম ৩৬ টাকা, কোয়েলের ডিম ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাইজাম চাল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা স্বপন মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে ৪/৫ কেজি হলে কেজিতে ৫ টাকা কম নেয়া হচ্ছে। দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, চাহিদা বেশি কিন্তু সে তুলনায় সাপ্লাই নেই।
মুরগি কিনতে এসে হতাশ হয়ে ডিম কিনতে গিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন বেসরকারি চাকরিজীবী মনসুর আলী। তিনি বলেন, সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে দেশি মুরগি কিনে খাওয়া কষ্টকর। সেখানে ব্রয়লারই ছিল ভরসা। কিন্তু ১১৫ টাকার ব্রয়লারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। আর ডিমে ডজনেই ১৫ টাকা বেড়েছে। বাধ্য হয়েই কেনা, বাঁচতে তো হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd