জকিগঞ্জে বালাই হাওরে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ১০:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

জকিগঞ্জে বালাই হাওরে মানুষের ঢল

এনামুল হাসান, জকিগঞ্জ :: উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল উপলক্ষে ফুলতলী ছাহেব বাড়িতে মানুষের ঢল নামেছে।

গত সোমবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলতলী অভিমুখী জনতার স্রোত চোখে পড়ার মতো। দুপুরের দিকে আল্লামা ফুলতলী (র.)-এর মাজার, মাহফিলের প্যান্ডেল, বাজার, রাস্তা-ঘাট সব স্থানই লোকারণ্য হয়ে। সময় যতই বাড়ছে ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, সেচ্ছাসেবক টিম তৎপর রয়েছেন।

ফুলতলী এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। সকাল সাড়ে ১০টায় এতিমখানার হাজারো এতিমকে নিয়ে হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাহফিলের কার্যক্রম।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় খতমে কুরআন ও দালাইলুল খায়রাত শরীফের খতম। জোহরের পূর্বেই লোকে লোকারণ্য হয় বালাই হাওর। বাদ জোহর খতমে খাজেগান ও দুআ শেষে মুরিদীন-মুহিব্বীনের উদ্দেশ্যে তা’লীম-তরবিয়ত ও হৃদয়গ্রাহী বয়ান পেশ করেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরী উস্তাযুল উলামা ওয়াল মুহাদ্দিসীন, মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের মাতা-পিতা আমাদেরকে মানুষের মতো মানুষ হবার কথা বলেছেন কিন্তু আমরা মানুষ হতে পারিনি। আমাদের প্রকৃত মানুষ হবার চেষ্টা করতে হবে। মেহমানকে সম্মান ও প্রতিবেশীর সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে। সবসময় ভালো কথা বলতে হবে। কেননা ভালো কথা হলো সদকাবিশেষ।

তিনি বলেন, খিলওয়াত তথা নির্জনবাস অত্যন্ত জরুরী বিষয়। আমাদের পীর ও মুরশিদ হযরত ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) বহুবার চিল্লা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের মধ্যে অনেকে এখনও তরীকার চিল্লা করে থাকেন। যারা তরিকার শুগল-আশগাল ও যিকর-আযকারে নিবিষ্ট হন তাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কেননা আল্লাহর পথে অগ্রসর হলে শয়তান ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করে। তিনি ঈসালে সাওয়াবের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বলেন, ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে গরীব অসহায় মানুষকে খাদ্য দান, গৃহ নির্মাণ, বৃক্ষরোপন ইত্যাদি নেক কর্ম সম্পাদন করুন। মানুষকে ভালোবাসুন, আর্ত-মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..