সিলেট ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : জাতিসংঘের এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মরত নারীকর্মী গত দুই বছরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। যখন বিশ্বজুড়ে মিটু আন্দোলন চলছে, তখন জরিপটি প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ ও তার বিভিন্ন সংস্থার ৩০ হাজার তিনশ ৬৪ জন কর্মীর ওপর জরিপ চালিয়েছে বহুজাতিক পেশাগত সেবা নেটওয়ার্ক ডেলাওয়েট।
তবে ওই সংখ্যার ১৭ শতাংশ মাত্র জরিপে অংশ নিয়েছে। জরিপের নমুনাকে অনেক কম বলে কর্মীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস।
জরিপে ২১ দশমিক সাত শতাংশ বলেছেন, তাদের আপত্তিকর কৌতুক ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ গল্পের বিষয় করা হয়েছে। ১৪ দশমিক দুই শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের চেহারা ও শারীরিক গঠন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য শুনতে হয়েছে। আর ১৩ শতাংশ বলেছেন, যৌন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনায় তাদের টানতে অনভিপ্রেত চেষ্টা করা হয়েছে।
এছাড়া ১০ দশমিক ৯ শতাংশ জানিয়েছেন, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ও আচরণের শিকার হয়েছেন। যা লজ্জাজনক ও বিব্রতকর। আর ১০ দশমিক এক শতাংশকে এমনভাবে স্পর্শ করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
যৌন হয়রানির শিকার হওয়া অর্ধেক কর্মী বলছেন, অফিসের পরিবেশের মধ্যেই এসব ঘটেছে। ১৭ দশমিক এক শতাংশ বলেন, কর্মসংস্থান-সংশ্লিষ্ট সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা এমন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, দু‘টি বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার। প্রথমত যৌন হয়রানি নিয়ে আলোচনা করতে আমাদের আরো বহুদূর পথ পাড়ি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত সেখানে একটি অবিশ্বাসের পরিবেশ বজায় রয়েছে। একটি নিষ্ক্রিয়তার ধারণা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd