সিলেট উইমেন্স মেডিকেলে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯

সিলেট উইমেন্স মেডিকেলে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার :: নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবার ইর্ন্টান চিকিৎসকের হাতে স্থানীয় সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীকে নিয়ে হয়রানীর শিকার হওয়ায় পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তিকৃত এক রোগীকে রক্ত দিতে যান দৈনিক শুভ প্রতিদিন-এর স্টাফ রিপোর্টার ইয়াকুব আলী। এসময় হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে তিনি ব্যাপক হয়রানির শিকার হন। পরবর্তীতে হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ দিতে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে যান ইয়াকুব।

কিন্তু প্রশাসনিক ভবনে কাউকে না পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুস্মিতা নামের ইন্টার্ন চিকিৎসককে অভিযোগের কথা বলেন তিনি। এসময় পাশের টেবিলে কম্পিউটারের সামনে বসা মাসুক নামে এক ব্যাক্তি সাংবাদিকের উপর চড়াও হন। বিভিন্ন বিষয়ে জানতে ওই সাংবাদিককে জেরা শুরু করেন। তখন ইয়াকুব আলী তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে মাসুক আরও ক্ষেপে গিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। সাংবাদিক তাঁর পত্রিকার ভিজিটি কার্ড হাতে দিলে ছুড়ে ফেলেন এবং যাচ্ছেতাই গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মাসুক চেয়ার থেকে উঠে ওই সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

এসময় মাসুক মিয়ার পাশে থাকা নাহিয়ান নামের আরেকজন ইন্টার্ন ডাক্তারও সাংবাদিকের উপর চড়াও হন। চেয়ার হাতে নিয়ে এগিয়ে আসেন নাহিয়ান। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিক ইয়াকুব আলীকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আনেন।

লাঞ্ছিত সাংবাদিক ইয়াকুব আলী বলেন, একটি অভিযোগ দিতে গিয়েই আমাকে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। তাদের রোষানলে পড়ে আমি অভিযোগ দিতে পারিনি। প্রত্যক্ষাদর্শীরা আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরে পরিচালকের নাম্বার চাইলে ইনফরমেশন ডেস্ক থেকে অপারগতা প্রকাশ করে। আমি পরবর্তিতে পরিচালক ডা. ফেরদৌস হাসান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। কোন সমাধান না হলে আমি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

উল্লেখ্য, এর আগেও হাসপাতাল কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে রোগীদের হয়রানি, সিজারের সময় নবজাতকের পা ভাঙা ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুসহ নানা অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বাংলাভিশনের ফটোসাংবাদিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
232425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..