মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: কৃষি কাজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে ঝুঁকছেন মফস্বলের কৃষকরা। পাচ্ছেন সুফলও। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে বীজতলা তৈরী, চারা উৎপাদন, রোপন, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের চিত্র। এমনকি খড় সংগ্রহেও নেয়া হচ্ছে মেশিনের সাহায্য। কৃষি কাজের সর্ব ক্ষেত্রেই এখন প্রযুক্তির ব্যবহার। এর কল্যাণে কমেছে ব্যয়ভার। স্বল্প সময় ও জনবলে চাহিদা মতো জমি চাষ করতে পারায় কৃষিতে আগ্রহী হচ্ছেন তরুণেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, কৃষি কাজে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার ৯টি, রিপার ১৮টি, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ৮টি। সরকারি র্ভতূকি ৫০-৭০% আওতায় এসব কৃষিযন্ত্র’র সুবিধা ভোগ করছেন কৃষকরা। খরচ সাশ্রয়ে গত আমন মৌসুমে কৃষকরা কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে প্রায় ২২০ একর ও রিপার দিয়ে ৮৩ একর জমির ধান কাটেন। পরে খড় সংগ্রহ করে ভেলার মেশিনের সাহায্যে খড়ের রোল বানিয়ে সংরক্ষণের জন্যে রাখা হয়। চলতি বুরো মৌসুমে কৃষি অফিস লক্ষ মাত্র নির্ধারণ করেছে ৭২৮০ হেক্টর।
ইতিমধ্যে মধ্যে এ বছরই প্রথম এ উপজেলায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে প্রায় ২৫ একর জমি রোপন করা হয়েছে। এর আগে তারা সরকারি ও এসিআই মটরস’র প্রশিক্ষণ নিয়ে মেশিনে রুপনের উপযোগী বিশেষ কায়দায় তৈরী বীজতলায় চারা উৎপাদন করেন। চাষী আহমদ আলী বলেন, এবার প্রথম বারের মতো রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বুরো ধানের চারা রোপন করেছি। আশা করি পূর্বের তুলনায় ভালো ফলন হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আরো প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পেলে বিশ্বনাথে অনাবাদি জমি হ্রাস পাবে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, যন্ত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই কৃষিকাজ সম্পন্ন করা যায়। সরকারের প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণ। এরই ধারাবাহিকতায় যন্ত্রপাতিতে ভর্তূকি’র মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!