সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রেমিকার মন রাঙাতে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে ছুটে এসেছেন প্রেমিক। এমন দৃশ্যের অবতারণা সিনেমা আর গল্পেই মানায়। তবে বাস্তবে এমন দৃশ্যপটের সম্মিলন ঘটিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন আমেরিকান যুবক ডেন হোয়াইট। তিনি রূপকথার সেই কল্প কথাকে হার মানিয়ে প্রেমিকাকে পেতে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের গাজীপুরের নয়াপাড়া গ্রামে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ডেন হোয়াইট। তার প্রেমিকা হলেন গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের সোলাইমানের মেয়ে মাসুমা সুলতানা শান্তা। তাদের বিয়ের খবরে শান্তার বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন উৎসুক জনতা। ভালোবেসে শান্তাকে বিয়ে করেছেন ডেন হোয়াইট। প্রেমিকার জন্য বাঙালি রীতি অনুযায়ী ডেন হোয়াইট মুসলমান হয়ে বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। ডেন হোয়াইট নাম বদলে হয়েছেন মোহাম্মদ আলী। বর্তমানে গাজীপুরের মির্জাপুরের নয়াপাড়া গ্রামের মাসুমা সুলতানা শান্তার বাড়িতে অবস্থান করছেন মোহাম্মদ আলী।
মাসুমা সুলতানা শান্তা বলেন, মাত্র দুই মাসের পরিচয় আমাদের। এরই মধ্যে ঘটে যায় অনেক কিছু। মূলত ফেসবুকে একটি বিতর্ক (ডিবেট) গ্রুপের মাধ্যমে ডেন হোয়াইটের সঙ্গে পরিচয় হয় আমার। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো আমাদের। কথা হতো ভিডিও কলে। এভাবে কথা বলতে বলতে মনের অজান্তে দু’জন দু’জনকে ভালোবেসে ফেলি। সেই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ায় পারিবারিক সম্পর্কে।
শান্তা বলেন, ভিডিও কলে আমাদের উভয় পরিবারের সদস্যরাও পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। বিয়ে করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করেছি আমি। এক মাস ধরে ভিসা প্রসেসিং করেও কাজ হয়নি। এ অবস্থায় বাংলাদেশে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ডেন হোয়াইট। গত ১ ফেব্রুয়ারি ডেন হোয়াইট বাংলাদেশে আসে। ওই দিন ঢাকার হজরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমার সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। এটিই আমাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। ওইদিনই তাকে নিয়ে গাজীপুরে আমাদের বাড়ি আসি। এরপর চলে বিয়ের আয়োজন।
শান্তা আরো বলেন, ডেন হোয়াইট খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। পরে মুসলমান হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে হোয়াইট। সে অনুযায়ী মুসলমান হয়। তার বর্তমান নাম মোহাম্মদ আলী। বাঙালি রীতি মেনে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমাদের গায়ে হলুদ এবং আংটি বদলসহ বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। মোহাম্মদ আলী বর্তমানে আমাদের বাড়িতে। আমরা ভালো আছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd