সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৯
মন্তব্য প্রতিবেদক :: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাটে জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীরা প্রতিদিন ছুটছেন গ্রাম থেকে গঞ্জে ভোটারের ধারেধারে। বেশ জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। তবে গোয়াইনঘাটে একই গ্রামে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী থাকায় জনগণ কাকে চায় সে নিয়ে মাতম চলছে। একই গ্রামে কী গোয়াইনঘাটবাসী চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান বানাবে নাকি কী করবে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেছেন আমরা একই গ্রামে কোন ভাবেই দুইজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে ভোট দেবনা। যদি একজন হতেন তবে আমরা চেষ্টা করতাম। আরও অনেকের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে একই গ্রামের সেই দুই প্রার্থী হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া হেলাল অপরজন হলেন স্বতন্ত্র ভাইস-চেয়ারম্যান প্রদপ্রার্থী গেলাম আম্বিয়া কয়েছ। কয়েকজন ভোটারের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া হেলাল আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় এবং আলীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে উনার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকায় পুরু উপজেলার জনসাধারণের সাথে উনার বেশ ভাল সম্পর্ক আছে। এজন্য উনাকে লোকজন সমর্থন করেছে। গোলাম আম্বিয়া কয়েছ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াতে জমিয়তের সকল নেতাকর্মী তার উপর ক্ষিপ্ত। তাছাড়া জমিয়তের দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত হল এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করা। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় দলীয় সব ভোট থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন তিনি। তাছাড়া বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের না বলে একাই নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে ওমরাহ পালনে গিয়ে সৌদি আরবে এক বছর থাকায়ও কিছু নেতাকর্মী তার উপর ক্ষিপ্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন আমার এখনও মনে হয় কোন সুযোগ পেলে গোলাম আম্বিয়া কয়েছ নির্বাচন থেকে সরে যাবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd