সিলেট সদর উপজেলার গাঙ্গিনা খাটিয়া গ্রুপ জলমহাল লুট

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০১৯

সিলেট সদর উপজেলার গাঙ্গিনা খাটিয়া গ্রুপ জলমহাল লুট

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের গাঙ্গিনা খাটিয়া গ্রুপ জলমহাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ও বুধবার দু’দফা জলমহাল লুটের ঘটনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে বৈধ ইজারাদার জানান। তবে ইজারাদারদের দাবী ঘটনার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।

জানা যায়, ২০১৮ সালে আখালিয়া ভুমি অফিস থেকে খাজনা ও টেক্স্রসহ ৩০ লক্ষ টাকায় মোগলগাঁও ইউনিয়নের ঝিলকার হাওর এলাকার গাঙ্গিনা-খাটিয়া গ্রুপ জলমহালটি ৬ বছরের জন্য ইজারা নেন খালপার-মিরেরগাও মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেড। এতে ইজারা বঞ্চিত হন মনু মিয়ার মৎস সমিতি। ইজারা বঞ্জিত হয়ে মনু মিয়ার সমিতি উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করেন। এদিকে বৈধ ভাবে ইজারা নিতে বঞ্চিতকারীরা দীর্ঘদিন থেকে এ জলমহালটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ইজারা বঞ্চিতরা কয়েকশত লোক নিয়ে জলমহালে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছঁলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। বুধবার ভোরে আবারো তারা কয়েক হাজার লোক নিয়ে জাল , পালা, বল্লম, ফলো নিয়ে জলমহালে আবারো লুটপাট চালায় তারা। এসময় ঘটনাস্থলে সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) রোজিনা আক্তার , জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ও আখালিয়া ইউ. ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মুকুল চন্দ্র দাশসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে লুটপাটকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

সূত্র জানায়, এ নিয়ে জালালাবাদ থানায় বার বার মৌখিক অভিযোগ প্রদান করলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। তাছাড়া গত ৩ মার্চ জলমহাল লুটের আশংকায় নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে নুর মিয়া,ছরকুম আলীর ছেলে ভলা মিয়া, ওয়াব আলীর ছেলে ইন্তাজ আলীসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন খালপার- মীরেরগাঁও মৎস সমিতির সদস্য আবুল কাহার।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরো জানান, বুধবার সকাল থেকে শিবের বাজার , দক্ষিন সুরমা, লামাকাজি,ছাতকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার লোক ভাড়া করে এনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গাঙ্গিনা খাটিয়া গ্রæপ জলমহাল লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষ। সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে মাছ লুটপাট। এসময় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। খালপার- মীরেরগাঁও মৎস সমিতির অভিযোগ ,পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা মাছ লুট ঠেকাতে পারেনি।
এ দিকে আখালিয়া ইউ. ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মুকুল চন্দ্র দাশ জানান, সকাল ৭ টায় আমি জলমহালে মাছ লুটের সংবাদ পেয়ে সেখানে দ্রæত চলে যাই। সহকারী কমিশনার (ভুমি) রোজিনা আক্তার ম্যাডামের নির্দেশে সেখানে মাইকিং করে আমরা তাদের জলমহাল থেকে আমরা তুলে দেই। তিনি আরো জানান, এই জলমহালটি ২০ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ইজারা মূল্যে ৬ বছরের জন্য (১৪২৫ থেকে ১৪৩০ বাংলা ) পর্যন্ত লিজ পায় খালপার- মীরেরগাঁও মৎস সমিতি লিমিটেড। ইজারা না পেয়ে একটি পক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করে। যা এখনো বিচারাধীন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) রোজিনা আক্তার জানান, অবৈধভাবে লোকজন জলমহালে প্রবেশ করে মাছ লুটপাটের ঘটনার খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। তারপর সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিয়ে বৈধ ইজারাদারকে তা সমজিয়ে দিয়েছি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..