‘স্বাধীনতা পদক’ পাচ্ছেন সিলেটের ডা. শিরীন

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০১৯

‘স্বাধীনতা পদক’ পাচ্ছেন সিলেটের ডা. শিরীন

সিলেট :: সিলেট মেডিকেল কলেজের ১৮ তম ব্যাচ এর ছাত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফাতেমা নুরুন নাহার চিকিৎসা শাস্ত্রে এ বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক’ এ ভূষিত হয়েছেন। সিলেট শহরে বেড়ে উঠা মেধাবী ছাত্রী শিরীন এখন একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নূরুন্নাহার ফাতেমা বেগম।  রোববার মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনীতি) মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এছাড়া পুরস্কার পাচ্ছেন আরেক চিকিৎসক ডা. কাজী মেজবাহুন নাহার।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে-ডা. কাজী মেজবাহুন নাহার এবং চিকিৎসাবিদ্যায়- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার নূরুন্নাহার ফাতেমা বেগম এ পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়া আরও ১০ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন: স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে: শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মরহুম আব্দুল খালেক (মরণোত্তর), মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবা/জনসেবায় -ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, সংস্কৃতিতে- মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে-হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে-অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে-বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে মনোনীত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতা পদক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

বর্ণাঢ্য জীবন

সিলেট কিশোরী মোহন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সিলেট সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করা ফাতেমা নাহারের তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের মিরা বাজারে।

তিনি সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৭ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন।

১৯৯৫ সালে  বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অধীনে এফসিপিএস পাস করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কিং সুলতান কার্ডিয়াকে শিশু কার্ডিওলজিতে দুই বছরের ট্রেনিং নিতে সৌদি আরব যান।

১৯৯৮ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশে প্রথম শিশু কার্ডিওলজি হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরে শিশুদের বিনা অপারেশনে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। ২০০৯ সালে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..