১০ বছর পর ফেঞ্চুগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন, ভোটারদের মধ্যে উৎসব বিরাজ

প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০১৯

১০ বছর পর ফেঞ্চুগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন, ভোটারদের মধ্যে উৎসব বিরাজ

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: আইনি জটিলতায় দীর্র্ঘ ১০ বছর পর আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। দীর্ঘদিন পর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মধ্যে উৎসব বিরাজ করছে। বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করলেও দলটির ৬ নেতা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে জমজমাট ভোটের লড়াই আশা করছেন ভোটাররা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত প্রার্থীরাও চষে বেড়িয়েছেন গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি অলিগলি। ভোট টানতে দিয়েছেন নানান নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটাররাও কষছেন শেষ মুহুর্তের হিসেব নিকাশ।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন রয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক শাহ্ মুজিবুর রহমান জকন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ওহিদুজ্জামান চৌধুরী ছুফি, মাওলানা হারুন উর রশীদ, মনির আলী নানু, হারুন আহমদ চৌধুরী ও মাহতাব উদ্দিন আহমদ।

উপজেলার ছত্তিশ গ্রামের ভোটার খাইরুল ইসলাম বলেন, সিলেটের সমৃদ্ধ একটি উপজেলা ফেঞ্চুগঞ্জ। এ উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা ও পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ প্রাকৃতিক সম্পদ। যিনি ফেঞ্চুগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করবেন এবারের নির্বাচনে আমরা তাকে ভোট দেব। সুফিয়া নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘যেইন আমরার আপদে বিপদে থাকবা। আমি তাইন রে ভোট দিমু। ভোটের পরে যারে পাওয়া যাইবো, তাইন চেয়ারম্যান অইলে মানুষর উপকার অইবো।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে নুরুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী ছুফি ও শাহ মুজিবুর রহমান জকনের মধ্যে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৬ হাজার ৪১০ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৩৬ হাজার ২৪৪ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৯২ টি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..