সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত শাহ আরফিন টিলার রয়্যালেটির নামে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে হামলা, ভাংচুর ও সংঘর্ষ হয়েছে। ওই সময় পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৭ জন। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শাহ আরফিন টিলা ধ্বংসের মূলহোতা জিহাদ আলী ও তার ছেলে মোহাম্মদ আলী বেশ কয়েকবছর যাবৎ অবৈধভাবে বাবুল নগর এলাকায় পাথরবাহী ট্রাক্টর গাড়ি থেকে ৫শত টাকা করে চাঁদা আদায় করছে।
আরো জানা যায়, গত কয়েকদিন আগের বৃষ্টির কারনে ভোলাগঞ্জ পয়েন্ট থেকে শাহ আরফিন বাজার পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের পাশাপাশি পায়ে হেটেও মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় গত তিনদিন যাবৎ শতশত পাথরবাহী ট্রাক্টর গাড়ি আটকা পড়ে। গাড়ি আটকা পড়লেও থেমে থাকেনি জিহাদ আলী ও মোহাম্মদ আলীর চাঁদা আদায় করা। তাদের এহেন কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন ট্রাক্টর গাড়ির মালিক, ড্রাইভার ও শ্রমিকরা। যার প্রেক্ষিতে সোমবার বিকালে ট্রাক্টর গাড়ির কয়েকজন ড্রাইভার ও শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে চাঁদা আদায়কারী মোহাম্মদ আলীর ওপর চড়াও হতে গেলে পাথরখেকো ও শাহ আরফিন টিলার ধ্বংসের মূলহোতা জিহাদ আলী ও তার ছেলে মোহাস্মদ আলী দৌড়ে পালানোর সময় পায়ে আঘাত পায় মোহাম্মদ আলী। সেই আঘাতকে কেন্দ্র করে জিহাদ আলীর ভাতিজা সদ্য সমাপ্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ও জিহাদ আলীর লোকজন উপজেলার থানা সদর এলাকায় মুুহুর্তের মধ্যেই শতশত গাড়ি আটক করে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ও জনসাধারণের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলার খবর শুনে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে জিহাদ আলীর ভাতিজা জাহাঙ্গীর, জামাল ও জিহাদ আলীর লোকজন পুলিশের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই খায়রুল বাশার, এস আই অভিজিৎ দাস, এস আই রাজিব চৌধুরী, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, মো: কয়েছ, তোফায়েল আহমদ ও এরিস্টোফার্মা ঔষধ কোম্পানীর রি-প্রেজেন্টিভ সাদিকুল ইসলাম। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জসিম উদ্দিনকে ফোন দেয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন কেটে দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd