চেয়ারম্যান আমার কান্না থামানোর জন্য সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন : রুমপাও

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

চেয়ারম্যান আমার কান্না থামানোর জন্য সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন : রুমপাও

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠান একজন ম্রো তরুণীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। যে ছবি গতকাল রবিবার সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষ এসব ছবি শেয়ার করে ‘নারীকে যৌন হয়রানি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু আলোচিত সেই ম্রো তরুণী রুমপাও মুরং বলছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। সংবাদ সম্মেলনে সেই তরুণী জানিয়েছেন, আবেগে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে জড়িয়ে ধরেন।

রুমপাও মুরং বলেন, ‘জনাব আবুল কালাম এর সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের একটি সম্পর্ক আছে। আমরা তাকে অসাম্প্রদায়িক ও সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি হিসেবে জানি। তার পিতা ও তার মত সকল সম্প্রদায়ের প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বিজয়ী হওয়ার পর আমরা পাড়াবাসী তাকে আমাদের পাড়ায় সংবর্ধনা প্রদান করি। সংবর্ধনা চলাকালে আমি অন্যান্যদের ন্যায় চেয়ারম্যানকে মাল্যদান করার পর আবেগপ্রবণ হয়ে খুশিতে কান্না করে ফেলি এবং এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান মহোদয় আমাকে ধরে ফেলেন। তিনি এমনটা না করলে আমি গুরুতর আহত হতাম।’

‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমার কান্না থামানোর জন্য আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আমার পরিবারের সদস্য মা-বাবা ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দুই শতাধিক লোকজন সংবর্ধনা স্থলে উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান মহোদয়কে আমি ও আমার ভাইয়েরা আপন বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি এবং তিনি আমাদেরকে ছোট বোনের মত জানেন। তাহার মধ্যে আমি বা আমরা কখনো খারাপ প্রবৃত্তি দেখিনি। তিনি এই ধরনের লোক নন।’

‘আমি জানতে পেরেছি উক্ত অনুষ্ঠানে আমার ও চেয়ারম্যান জনাব আবুল কালামের ছবিসহ উক্ত অনুষ্ঠানের কিছু ছবি চেয়ারম্যান মহোদয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের আইডি থেকে পোস্ট করেন। উক্ত ছবিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের কিছু লোকজন ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র আমার ছবিগুলো কে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিকৃতভাবে মন্তব্য করেন যা আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আমি ও আমার পরিবার চেয়ারম্যান মহোদয়কে আমাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে জানি। আমি তার একজন ভক্ত ও বটে।’

‘আমার ছবিগুলো ভাইরাল করার পূর্বে অথবা মিডিয়াতে প্রকাশ এর পূর্বে আমার ও আমাদের পরিবারের বক্তব্য নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে একটি সুন্দর ভাতৃত্ববোধকে পুরো পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উক্ত ছবিগুলি ভাইরাল করা হয়। সাধারণত ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এ ধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে তৃপ্তি পায়। আমি ও আমার পরিবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এ ধরনের অপপ্রচার যারা করে তারা এলাকার শান্তি চায় না, সহাবস্থান চায় না। আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে আমি জানিনা, এটা দুঃখজনক ও মানহানিকর।’

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে সাংবাদিকরা রুমপাও মুরংকে প্রশ্ন করেন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালামের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা। জবাবে রুমপাও মুরং নিশ্চিত করেন যে, তার কোনো অভিযোগ নেই।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..