স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সিলেটের মেয়ে ব্রিগেডিয়ার ডা. ফাতেমার সংক্ষিপ্ত জীবনী

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৯

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত সিলেটের মেয়ে ব্রিগেডিয়ার ডা. ফাতেমার সংক্ষিপ্ত জীবনী

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চিকিৎসা বিজ্ঞানে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর স্বাধীনতা পদক পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম। সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমার হাতে পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ সালে সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকায় জন্মগ্রহন ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা। সিলেট কিশোরী মোহন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও সিলেট সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি।

ফাতেমা নাহার সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৭ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরে যোগ দেন। সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) অধীনে পেডিয়াট্রিক্স এ এফসিপিএস (FCPS) পাস করেন।

১৯৯৬ সালে তিনি কিং সুলতান কার্ডিয়াকে শিশু কার্ডিওলজিতে দুই বছরের ট্রেনিং নিতে সৌদি আরব যান। তারপর এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি (FRCP),ইউএসএ তে এফএসিসি (FACC) এবং এফএসসিএআই (FSCAI) নামক উচ্চতর ডিগ্রি এবং ফেলোশিপ অর্জন করেন।

১৯৯৮ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশে প্রথম শিশু কার্ডিওলজি হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরে শিশুদের বিনা অপারেশনে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। ২০০৯ সালে আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিবাহিত জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জননী অসম্ভব সাহসী এ নারীর পথচলা কখনোই সহজ ছিল না। ১৫ বছর বয়সে বাবা-মা দুজনকেই হারান। তাঁর দ্বিতীয় কন্যার অকালপক্ব (Premature) জন্ম বিদেশে ট্রেনিং চলাকালীন সময়ে হয়।

এছাড়া নারী বিশেষজ্ঞ হিসাবে শিশু হৃদরোগে জায়গা করা ও কষ্টসাধ্য ছিল। পরিবার, ট্রেনিং, চাকুরী, উচ্চশিক্ষা, সামাজিক অবদান সব কিছু সামলানোর স্বীকৃতি হিসাবে এ বছর তিনি স্বাধীনতা পদক পুরষ্কার পেয়েছেন।

ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা ছাড়াও এবছর স্বাধীনতা পদক পুরস্কার পেয়েছেন আরেকজন চিকিৎসক ডা. কাজী মেজবাহুন নাহার। এ দুই চিকিৎসক ছাড়াও স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান ও ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর দেশের এ সর্বোচ্চ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, ৩ লাখ টাকা ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..