সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯
ক্রাইক প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর ন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ও আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ি, সুবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি, কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআইদের নেতৃত্বে বেপরোয়া এই টহল টিমের কর্মকাণ্ড বার বার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ কারণে এবার এই ঘটনাটি সিলেটবাসী নাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির সামনের সিসি ক্যমেরা দেখলেই বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। তারা প্রতিদিন সকাল হলে কি করে। গত ২০ মার্চ বুধবার ভোর রাতে নগরীর তালতলাস্থ হোটেল গুলশানের সামনে বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির টহল টিমের পুলিশ সদস্যরা একটি লোককে আটক করে ডাকাতের মতো সব কিছু হাতিয়ে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় আবার বলে গেছে যদি কেউ জানতে পারে তাহলে হাজতে নিয়ে যাবো। তাদের চিনতে না পারার কারণ নেইম প্লেইট খোলা ছিল।
বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা সুরমা মার্কেটের সামনে বদরুল রেস্ট হাউস নামে একটি পতিতালয় হোটেল রয়েছে। এই হোটেলের সামনেই তাদের অবস্তান। এ হোটেলকে ঘিরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে পুলিশ। যারাই এই হোটেলে যায় তাদের পিছু নেয়। ধরে নিয়ে আসে ফাঁড়িতে। সঙ্গে থাকা টাকা তো নেয়ই, স্বজনদের ফোন দিয়ে এনে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- সুরমা মার্কেটের সামনে অবাঞ্ছিত নারীরা পুলিশের শেল্টারে অবাধে ঘুরাফেরা করে। তাদের দিয়ে টাকা রুজির ধান্ধা করে বেড়ায় পুলিশ। আর এতে সবচেয়ে বেশি প্রতারণার শিকার হন সিলেটের বাইরে থেকে আসা লোকজন।
কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি রেলষ্টশনের সামনে অবস্থান করে, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি কাজিরবাজার ব্রীজের সামনে, শাহজালাল তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ি নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে। এ ভাবে ফাঁদ পেতে বসে থাকে দেখলে কিন্তু আনন্দ লাগে যাতে করে নগরীতে আর কোন ছিনতাই হবে না। কিন্তু তারাই হচ্ছে ছিনতাইকারীদের সেল্টার দাতা। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ভোরে সুরমা মার্কেটের সামনে আসলে দেখা যায়।
একটু রাত হলে কিংবা একটু সকালে যখন রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে, তখন পুলিশ রাস্তায় কাউকে পেলে এভাবেই হেনস্থা করে। বিশেষ করে পর্যটকদের সাথে এ ধরনের আচরণে সিলেটের পর্যটনে চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিস্তারিত হোটেল বদরুল রেষ্ট হাউজ নামক পতিতালয় থেকে চাঁদা নেওয়ার চিত্র সহ।
প্রসঙ্গ: সিলেটে বেড়াতে আসা এক দম্পতিকে হেনস্থা ও তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মো. ওবাইদুর রহমান নামের ওই অভিযুক্ত এএসআইকে ক্লোজড (বরখাস্ত) করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, অভিযুক্ত এএসআই ওবাইদুর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ওই টহল দলের নেতৃত্বে ছিলেন এএসআই মো. ওবাইদুর রহমান। তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd