স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাটের ৬নং ফতেহপুর ইউনিয়নের মহিষখেড় পূর্ণ ছড়ায় বিলে বিষ ঢেলে পাখি শিকার চলছে বহুদিন ধরে। স্থানীয় কতিপয় প্রতারক চক্র রাতের আধারে দেশী-বিদেশী এসব পাখি নির্বিচারে হত্যা করে হাট বাজারে বিক্রি করে। এই চক্র বিলের পানিতে বিষাক্ত পটাশিয়াম, বিষ মিশ্রিত ধানসহ বিষজাত দ্রব্যাদি প্রয়োগ করে র্দীঘদিন থেকে পাখি শিকার করে। এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত পূর্ণ ছড়া বিলে ২৮মার্চ ভোর রাতে কোন এক সময় বিষটুপ ঢেলে দিলে স্থানীয় হাঁসের খামারির রাশিদ আলীর ৫শতাধিক ডিম দেয়া হাঁস উক্ত বিষাক্ত বিলের পানি এবং ভাসমান বিষাক্ত ধান খেয়ে মারা যায়।
খামারি রাশিদ আলী জানান, স্থানীয় মোস্তফার সাথে পূর্ব বিরোধ ছিল তার। তাই এই হাঁসগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে ২৫০টিরও বেশি পালিত হাঁস বিষক্রিয়ায় মারা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে খামারে আরো বেশকটি হাঁস মারা যায় এবং অবশিষ্ট হাঁসগুলোও মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে আছে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উল্লেখ করে রাশিদ আলী বলেন, মোস্তফার সাথে আমার বিরোধ ছিল। তাই বলে মোস্তফা আর নারদ বিশ্বাস আমার বোবা প্রাণী হাঁসের এমন ক্ষতি করবে কল্পনাও করিনি। আমি এর ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। সরেজমিনে বিষয়টি তদন্তে হলে সব সত্যতা পাওয়া যাবে।
মহিষখেড় গ্রামের আব্দুল্লাহ জানান, স্থানীয় মোস্তফা এবং নারদ বিশ্বাস এই ঘটনার সাথে জড়িত। নারদ বিশ্বাসের মোবাইল ফোন থেকে মোস্তফা মিয়া উক্ত বিলে বিষ প্রয়োগ করে হাঁস মারবে বলে আমাকে অবহিত করে, কোন বিপদ আপদ হলে তাহার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ জানায়।
বাগবাড়ী গ্রামের ফয়সল নামের যুবক জানান, ঘটনার দিন সকাল ৬টার দিকে ঔষুধের জন্য জলুরমুখ বাজারে যাওয়ার সময় আমার সাথে একই নৌকায় মোস্তফা এবং নারদ বিশ্বাসও পাড়ি দিতে দেখেছি। আমার ধারণা তারাই এই বিষ ঢেলে হাঁস হত্যা জড়িত থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে অভিযোগে পেয়ে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিতে সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই বাসেদ মিয়াকে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়াইনঘাট থানার অফিসার (তদন্ত) হিল্লোল রায়।