সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় শিশু সোয়াইবুর রহমান(১১)হত্যা মামলায় মা সিতারা বেগম (৩৭) ও তার কথিত প্রেমিক বারিক মিয়াকে(৩৫)কে মঙ্গলবার(২,এপ্রিল)বেলা ১২টার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন মৃত্যু দন্ড আদেশ দিয়েছেন ।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বারিক মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে ও ঘাতক মা সিতারা বেগম একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সোহেল আহমেদ ছইলমিয়া ও জিয়াউল ইসলাম। আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন।
২০১৪সালের ১৫অক্টোবর শিশু সোয়াইবুরের চাচাত ভাই বাদী হয়ে ঘাতক মা সিতারা বেগম,প্রেমিক বারিক ও কিশোর সাবুলকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত ঘাতক মা সিতারা বেগম ও তার প্রেমিক বারিক মিয়াকে মৃত্যু দন্ডাদেশ দেন। আসামি বারিককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এবং ঘাতক সিতারা বেগম পলাতক থাকায় তাকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ও দ্রæত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নিদের্শ দেয়।
অপর আসামি সাবুল কিশোর হওয়ায় তার বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছে।
মামরার এজাহার স‚ত্রে জানা যায়,সিতারা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম র্দীঘ দিন ধরে সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করছেন। এ সুযোগে তার স্ত্রী সিতারা বেগম একই গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে বারিক মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪সালের ১৪আক্টোবর সিতারা বেগমকে কথিত প্রেমিক বারিকের সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলে সিতারা বেগমের শিশু ছেলে সোয়াইবুর রহমান। এই দিন সন্ধ্যায় শিশু সোয়াইবুরকে খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের হাফিজিয়া মদ্রাসার কাছে নিয়ে শিশু সোয়াইবুরকে মা ও মায়ের প্রেমিক বারিক মিলে গলা টিপে হত্যা করে মাদ্রাসার টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। স্বজনরা সোয়াইবুরকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে মাদ্রাসার টয়লেটের ট্যাংকিতে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd