সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের প্রবেশদ্বার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড । এ ওয়ার্ডের ভেতরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও সিলেট আন্ত:নগর রেলওয়ে স্টেশন।
রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক আবাসিক আর অনাবাসিক হোটেল। দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ঐ এলাকাতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে রাতের আধাঁরে ভাসমান (নিশিবালা) পতিতাদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।
ক্বীন ব্রীজের দক্ষিণ অংশ, চাদনীঘাট, ঝালোপাড়া, টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবাধ বিচরণ করে ভাসমান যৌন কর্মীরা। টামিনাল এলাকা থেকে শুরু করে কদমতলী পয়েন্ট এবং হযরত দরিয়াশাহ মাজার সড়কের প্রধান ফটক, জকিগঞ্জ সড়কের শাহজালাল সেতুর ওভারব্রীজের উপর ও নিচ, রুচি রেষ্ট্রুরেন্টের সামন, হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরসহ আশপাশ এলাকায় ঘুরে বেড়ায় নিশিবালারা।
এদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়া দেশের দুর দুরান্ত থেকে আসা সাধারণ যাত্রীরাও নাজেহাল হচ্ছেন এদের হাতে। সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র (১) ও ২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন এসব বহিরাগত ভাসমান যৌনকর্মীদের উচ্ছেদে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিলেও দক্ষিণ সুরমা থানার অধীনে থাকা দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁিড়র টহলরত পুলিশ সদস্যরা তা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।
সরেজমিন ২৬ নং ওয়ার্ড এলাকা ঘুরে পাওয়া যায় এসব তথ্য। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আবাসিক ও অনাবাসিক হোটেলগুলো বর্তমানে মিনি পতিতালয় হিসেবে গড়ে উঠেছে। হোটেলে থাকা কাজের মহিলা পরিচয়দানকারীরা যৌন কর্মী হিসেবে নির্ভয়ে চালায় দেহ ব্যবসা। কদমতলী, ভার্থখলা, টার্মিনাল চাদনীঘাটসহ সবকটি হোটেলে দেদারসে চলছে এসব অনাচার ও নৈতিকতা বিরোধী অপকর্ম।
প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযান নিয়মিত চললেও নেই কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ । প্রতিরাতে প্রতি হোটেলে পুলিশ তল্লাশী করলেও তাদের চোখে পড়েনা এসব অসামাজিক কার্যকলাপ। সাপ্তাহিক বখরা প্রদানের মাধ্যমে কদমতলীর বালুর মাট থেকে শুরু করে কলোনী ও হোটেল গুলোতে চলে আদিমতম ব্যবসা। দক্ষিণ সুরমা পুলিশ ফাঁিড়র নবাগত ইনচার্জ এস আই শাহিন মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যেহেতেু নবাগত ইনচার্জ এসআই শাহিন মিয়া ফাঁড়িতে নতুন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন, সেহেতু তিনি অচিরেই এসব অপরাধ রোধে খুব শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
অপরদিকে দরিয়া শাহ মাজার এলাকার পাহারাদার সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মাসুক জানান, ভাই প্রতি রাতে ভাসমান খারাপ নারীদের তিনি লাঠি দিয়ে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করলেও একা কি করে আমি এদের প্রতিহত করবো ? এমন মন্তব্য করেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd