সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৯
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির ছোট ভাই যুবদল কর্মী মিয়া কালা আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ থেকে পলিয়েছেন বলে জানা গেছে। কালা মিয়া ২০১০ সাল থেকে যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মিয়া কালা গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের হাতিরখাল গ্রামের মোশারফ আলীর ছেলে তার বড় ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়া। সেই সুবাদে মিয়া কালা যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছিলো।
কিন্তু ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মিয়া কালার পরিবারের উপর একের এক মিথ্যা সাজানো মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। মিয়া কালার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। সংসদ সদস্য আওয়ামীলীগের এমপি ইমরান আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইব্রাহিম আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দুলাল আহমদ দুলালসহ সকলই আওয়ামীলীগের লোক।
স্থানীয় মাতুরতল বাজারের ছিলো মিয়া কালাদের একটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্টান। সেখান থেকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন জোর করে ভিবিন্ন পণ্য ও ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া, রাতে যাওয়া আসার পথে ভিবিন্ন ভাবে টর্চার করা, নির্বাচনের সময়ে হওয়া ভিবিন্ন মামলায় আসামি করে মিয়া কালার বাবা এবং ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতন সব মিলিয়ে পাগলের মত অবস্থা হয়েছিল তাদের পরিবারের।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের পরের দিন পুলিশের কাজে বাধা ও নির্বাচনে প্রতি বন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলা করে পুলিশ ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি কালা মিয়ার বাবা এবং ভাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে তার বাবা এবং ভাইকে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ। দুই জনই অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাদের হাসপাতালের ভর্তি করে। পরে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাদা কাপড়ের একদল সস্ত্রাসী মিয়া কালাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ৫ জানুয়ারি এরপর তিন চারজন মলে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। আহত অবস্থায় এক পরিচিত আত্মীয়র সাহায্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরেন তিনি। এই পরিবারের উপর এমন নির্যাতনে মিয়া কালার মা পাগল প্রায়। এরপর মার্চের মাঝা-মাঝি মিয়া কালা তার বাবা এবং ভাইয়ের জামিন করান। সর্বশেষ পুলিশের নির্যাতনে অসুস্থ অবস্থায় আমার বাবা ২৭ মার্চ মারা যান মিয়া কালার পিতা।
পরবর্তীতে মিয়া কালার বড় ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হান্নান মিয়াকে গুম করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা। পরে মিয়া কালা এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিজের দেশের মায়া ত্যাগ করে এবং কাউকে কিছু না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু এতকিছুর পরও থেমে নেই আওয়ামীলীগের লোকজন। তারা মিয়া কালাকে খোজে না পেয়ে তাদের দোকান দখল করে নেন। এবং তাদের বাড়িতে হামলা চালান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd