সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: এবার নগরীর অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) গঠিত মোবাইল কোর্ট। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর পর্যন্ত।
এসময় নগরীর বন্দরবাজার ধোপাদিঘীরপাড়স্থ আল-ফালা টাওয়ারে কয়েকটি দোকান ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থায় ত্রুটি ও নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়ের অভিযোগে বেশ কয়েকটি দোকানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এর আগে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর উত্তর বাগবাড়ি মদিনা মার্কেট রোড এলাকায় স্পেক্ট্রা অক্সিজেন লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই সাংবাদিক আহত হলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাৎক্ষণিক ভাবে ডাকেন জরুরি বৈঠক। বৈঠকে রোববার সকাল থেকে নগরীতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর অংশ হিসেবেই শুরু হয়েছে এ অভিযান।
অভিযান শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, চরম অব্যবস্থাপনায় নগরীতে যত্রতত্র ভাবে গড়ে উঠেছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নির্দ্বিধায় চলছে এ ব্যবসা। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। তিনি বলেন, একটি নিরাপদ স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা সরিয়ে নিতে হবে। জনসাধারণের চলাচল ও আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা বে আইনি।
মেয়র বলেন, বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর অনুযায়ী এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪-এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে লাইসেন্স ব্যতীত কোন ক্ষেত্রে এলপিজি মজুদ করা যাবে তা উল্লেখ আছে। একই বিধির ৭১ নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য স্থাপনা বা মজুদাগারে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। এ আইন অমান্য করলে ওই ব্যবসায়ী নূন্যতম দুই বছর এবং অনধিক পাঁচ বছরের জেল এবং অনধিক ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে-দণ্ডিত হবেন এবং অর্থ অনাদায়ী থাকলে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ আইন না মেনে নির্দ্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসা। যার কারণে সিসিক এ অভিযানে নামতে বাধ্য হয়েছে।
গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
অভিযানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সচিব নুর আজিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী, এসএমপি পুলিশের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল, ফায়ার সার্ভিস সিলেটের উপ পরিচালক দিনমণি শর্মা, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী ইন্সপেক্টর মো. আলীম উদ্দিন, জালালাবাদ গ্যাসের প্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd