এ উৎসবকে ঘিরে তেতইগাঁওসহ আশপাশের মণিপুরী পল্লীগুলোতে সাজ সাজ রব দেখা গিয়েছিল। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরীদের নিজস্ব একটি বর্ষগণনারীতি রয়েছে। ‘মালিয়াকুম’ নামের এই চান্দ্রবর্ষের হিসেবে ৩৪১৭ তম বর্ষ ৬ এপ্রিল শুরু হল। এই দিন মণিপুরী নববর্ষ উৎসব ‘চৈরাউব কুম্মৈ ৩৪১৭’ উদযাপনের উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল শনিবার সকালে আদমপুর মণিপুরী কালাচারাল কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গণ থেকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও উপকরণ নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, পতাকা উত্তোলন, সারোইখাংবা, দুপুরে প্রসাদ বিতরণ, বিকাল ৪টায় মণিপুরি নারী-পুরুষের যৌথ অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী লিকোন শান্নবা (কড়ি খেলা), সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় মণিপুরীদের নববর্ষ উৎসব ‘চৈরাউবা কুম্মৈ’ উপলক্ষে চৈরাউবা উদযাপন পর্ষদ এর আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কবি ও গবেষক এ কে শেরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, সালেহ এলাহী কুটি, কবি ও গবেষক চৌধুরী বাবুল বড়ুয়া, প্রশান্ত সিংহ, মো: আব্দুল মতিন, কে. মনিন্দ্র সিংহ, কবি সনাতন হামোম, ইবুংহাল শ্যামল প্রমুখ। রাতে মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মণিপুরী যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণে থাবল চোংবা নৃত্য (উন্মুক্ত স্থানে অনেক যুবক-যুবতীর অংশগ্রহণে মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা) অনুষ্ঠিত হয়।