সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : শিল্পী হিসেবে আমরা শিল্পী সমিতি ও এফডিসিতে সঠিক মূল্যায়ণ পাচ্ছি না। অনেক সময় আমাদের অপমানিতও হতে হয়। এফডিসিতে আসলে একপ্রকার হতাশায় থাকতে হয়। এফডিসিতে আসলেই মনে হয় এই বুঝি কেউ অপমান করবে! আমাদের টেলি সামাদ ভাইও এরকম হতাশায় ছিলেন। তিনি এই হতাশায় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কেনও মারা যাচ্ছি না? আল্লাহ কেনও তাড়াতাড়ি তুলে নেন না? টেলি সামাদের চতুর্থ জানাজায় এফডিসিতে এসে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাসরিন।
আজ রোববার টেলি সামাদের জানজা সম্পূর্ণ হয় সাড়ে ১২টায়। এর আগে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানান দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কলাকুশলীরা।
চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাসরিন আমাদের সময় ডট কমকে বলেন, ‘এখন চলচ্চিত্রের যেকোনও অনুষ্ঠানে আমরা দাওয়াত পাই না। চলচ্চিত্রের কোনও কাজে আমাদের জানানো হয় না। তবে জানা দোয়া ও জানাজা হলে দাওয়াত ছাড়াই আসি। নিজের দ্বায়বদ্ধতা থেকে আমি সবকিছু সামলে একপলক দেখার জন্য প্রিয় এফডিসিতে আসি।’
বলতে গেলে গত ৪ এপ্রিল আমি এফডিসিতে চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে আসলে আমার স্মামী ও সন্তানসহ চেয়ারে বসলে শিল্পী সমিতির এক নেতা সিকিউরিটি দিয়ে ওঠানোর জন্য বলেন। সিকিউরিটি এসে যখন দর্শক সারিতে বসতে বলেন সেখানে গিয়ে দেখি সিট খালি নেই। তখন অনুষ্ঠান না দেখে বেরিয়ে যায়।
টেলি সামাদকে শেষবারের মতো দেখতে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে নাসরিন বলেন, ‘আমি ‘রুপনগরের রাজকন্যা’ চলচ্চিত্রে প্রথম কৌতুক অভিনয় করি। এ ছবিতে আমার সাথে টেলি সামাদ ভাইয়ের জুটি ছিল। এই ছবি করতে গিয়ে তার সাথে এমন বন্ধুন্ত হয় যে ওনি সত্যি একজন মাটির মানুষ। এমনকি একজন পরিবারের মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। সুন্দর একজন মনের অধিকারী মানুষকে আমরা হারালাম। সত্যি অনেক কষ্ঠ লাগছে। আল্লাহ যেন ওনাকে ভালো রাখেন।
টেলি সামাদকে শেষবারের মতো দেখতে এফডিসিতে আসেন- তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্যসচিব আব্দুল মালেক, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর পাঠান ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, চিত্রপরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, অভিনেতা অমিত হাসান, সম্রাট, আলীরাজ, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, নাসরিন, সঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরসহ আরও অনেকে।
তথ্য মন্ত্রণালয়, বিএফডিসি, প্রযোজক সমিতি, শিল্পী সমিতিসহ ও বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে টেলি সামাদের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের তার নিজ গ্রাম নয়াগাওতে। সেখানে পারিবারিক গোরস্হানে তাকে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, টেলি সামাদ দীর্ঘ দিন ধরে খাদ্যনালীতে সমস্যা ও ফুসফুসের সমস্যাজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে টেলি সামাদ। তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আজ এফডিসিতে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সিনিয়র-জুনিয়র অনেক তারকার দেখা মেলেনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd