সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চট্রগ্রাম পতেঙ্গা সি-বীচ ও গনশৌচাগার চাই, চট্রগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অতি সহসাত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পূনর্বাসন পিরে পেতে সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাবসায়ীরা। অনেকের প্রাণ বলে দাবী করছেন এই পতেঙ্গা কেউ কেউ দোকান হারিয়ে পথে বসে গেছেন বলে দাবী অনেক ব্যাবসায়ীদের তাদের কাছ থেকে চলে গেল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত যেটার মাধ্যমে বেঁচে আছে তাদের পরো পরিবার। অনেকদিন যাবৎ ফেইসবুক দেখিনা তাই লিখিনা। দেখতে গেলে লিখতে হয়, লিখলে আবার সমস্যা হয়, সমালোচনাও হয়। তাই ফেইসবুক থেকে দুরেই ছিলাম। মানুষ নিয়ে যখন ভাবি, আবার দায় দায়ীত্বে যখন আছি তাই বিবেকের তাড়নায় বসে থাকতে পারলাম কৈ, এই কথা লিখলেন ফেইসবুকএ এসে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি, মাষ্টার মোহাম্মদ ওয়াহিদুল আলম। মানবিক কারনে লিখতে বসলাম, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের অন্যতম চিত্তবিনোদন কেন্দ্র। সরকারি উদ্যোগ ছাড়াই আমরা বর্তমানে ব্যাবসায়ীরা বা আমাদের অগ্রজারা যাদের অনেকেই পরপারের বাসিন্দা হয়ে গেছেন। এই সী বীচকে তিল তিল করে গড়তে গিয়ে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে হারিয়েছি অনেক ধানি জমি, হারিয়েছি গো-চারন ভূমি, হারিয়েছি বাল্যকালের ফুটবল খেলার বিশাল বিশাল বালুচর অর্থ্যাৎ খেলার মাঠ। সী-বিচ মানেই চিত্তবিনোদন কেন্দ্র, সী বিচ মানেই পতেঙ্গা ও পুরো জাতির অহংকার, সীবিচ মানেই সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র, সিবীচ মানেই বিশে^র সাথে পাল্লা দেওয়া, সী-বীচ মানেই নাজিরপাড়া ও ফুলছড়ি পাড়ার মাঝে দুই বৎসরের গৃহযুদ্ধ, সীবিচ মানেই আমার শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম হাজী আব্দুল জলিল, মরহুম রহীমুন্সি, শেখ আহাম্মদ, (শেখালী) ও আবুল কালাম এর দীর্ঘ ছয় মাস মিথ্যা মামলায় করুনভাবে জেল খাটা, সীবিচ মানেই আমি সহ আমরা নয় জন তিন যুগ (৩২বৎসর) মিথ্যা মামলার ঘানি টানা, সীবিচ মানেই ফুলছড়ি পাড়ারাবাসিরা তৎকালীন (১৯৮৫/৮৬) প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতির মালিক হওয়া, ছাড়াও ৪ বৎসরের মত নিজ পাড়ায় গৃহবন্দী ও জিম্মী অবস্থায় থেকেও সী-বিচ ছাড়িয়ে, ধৈর্য ধরতে পেরেছি বলেই সী-বিচ আজকের পর্যায়ে এসছে। আমরাই সী-বিচ এর মূলকারিগর, এটা আমাদের ভাত,ঘর এটা আমাদের প্রাণ। এটার আরেকটা বৈশিষ্ট আছে সেটা হল মানুষ বৎসরের ঈদের খুশী অনুভব করে ২ ঈদে দুইবার। আর আমার প্রতি শুক্রবার বা বন্ধের দিনগুলোতেই ঈদের খুশি অনুভব করি। যাক সে কথা, মোদ্দা কথা হলো সী-বিচ ছিল সরকারের অনাদরে, অযতেœও অবহেলায়। এর উন্নয়নের জন্য সরকারের সমীপে অনেক সময় বহু নিবেদন, নজরদারি, খবরদারী, আকুতি ও মিনতি করেছি কিন্তু কিছই ত হলোনা। কথায় বলেনা “বাপকা বেটা সিপাইকা ঘোড়া বহুত চে-নেহি তোড়া তোড়া” ঠিক তেমনি জাতির জনক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কণ্যা, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আন্তরিকতা ও সু-দৃষ্টির কারনে আর সি ডি এ” এর বিচক্ষন চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস ছালাম, সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমেই দর্শনার্থী হারাতে বসা সী-বিচ আজ দেশ-বিদেশ ভ্রমন পিপাসু মানুষের মন আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। উপচে পড়া ভীড় দিন দিন বাড়তেই আছে। আরও বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের প্রতাশ্যাও ছিল তাই। কিন্তু বিশ^মানের এত বড় ব্যাবস্থা করার পরেও সবচাইতে যে জিনিসটা প্রথমে করার দরকার ছিল সেটা আজ অবধি করা হলোনা যেমন আপনি ভাত লাখেয়ে অনেকদিন থাকতে পারবেন । প্রকৃতির ডাক আসলে রাজা মহারাজা কেউ কি অপেক্ষা করতে পেরেছেন? সেটা হচ্ছে গনশৌচাগার।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd