চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানকৃত লিখিত আবেদনে ইদ্রিস আলী উল্লেখ করেন, ১৯৯৫ সালের ১৫ই মে ইসলামী শরিয়তের বিধান মতে রেজি:কাবিননামা সম্পাদনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সেরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গনির মেয়ে রিনা বেগমকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩কন্যা ও ২পুত্র জন্মগ্রহন করেন। বিবাহ পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আবরে প্রবাস জীবন অতিবাহিতকালে তার কষ্টার্জিত প্রায় ১৬ লাখ টাকা দেশে স্ত্রীর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্ত স্ত্রী রিনা বেগম এই টাকা দিয়ে তার পিত্রালয়ে নিজের নামে জায়গা জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে স্ত্রীকে পিত্রালয়ে ক্রয়কৃত জমি বিক্রয় করে টাকা ফেরত এনে দিতে বলেন। কিন্ত টাকা ফেরত না দেওয়ার কু-মতলবে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেন স্ত্রী রিনা বেগম। একপর্যায়ে তার (ইদ্রিস আলীর) দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী বাড়ির শফিক মিয়া বখাটে ছেলে ফাহিম আহমদকে সময়-অসময়ে বসত বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতে দিয়ে বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার সুযোগ দেন রিনা বেগম। এতে পারিবারিক ও সামাজিক মান-সম্মান বিনষ্ট করায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানষিক ও পারিবারিক অশান্তিতে দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নায়, বিধায় তিনি তার স্ত্রীকে এককভাবে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বলে লিখিত আবেদনে ইদ্রিস আলী উল্লেখ করেন।
তালাকনামা অনুমোদনের জন্য ইদ্রিস আলী প্রদানকৃত আবেদন পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন- আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।