মেয়েকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক!

প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯

মেয়েকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক   :: বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের যুবকের সঙ্গে নিজের ষোড়শী মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ার সুযোগ তৈরী করে দেওয়া ও প্রবাসের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে স্ত্রীকে তালাক নোটিশ দিয়েছেন ইদ্রিস আলী (৬০)। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র। এর আগে তিনি গত ৪ এপ্রিল স্ত্রী-সন্তানকে জিম্মি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ভাই ভাতিজাদের হয়রানী করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সংবাদ সম্মেলনের পর রবিবার (৭এপ্রিল) ইদ্রিস আলীর ভাতিজা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইরন মিয়ার বিরুদ্ধে তিন বার অবৈধ গর্ভপাত ও স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তার মেয়ে। এরপর ওই দিনই ইদ্রিস আলী তার স্ত্রী রিনা বেগমের (৪৫)’কে তালাকনামা অনুমোদনের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন ও আইনজীবীর মাধ্যমে নোটারী পাকলিক করেন।

চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানকৃত লিখিত আবেদনে ইদ্রিস আলী উল্লেখ করেন, ১৯৯৫ সালের ১৫ই মে ইসলামী শরিয়তের বিধান মতে রেজি:কাবিননামা সম্পাদনের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সেরা মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গনির মেয়ে রিনা বেগমকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩কন্যা ও ২পুত্র জন্মগ্রহন করেন। বিবাহ পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আবরে প্রবাস জীবন অতিবাহিতকালে তার কষ্টার্জিত প্রায় ১৬ লাখ টাকা দেশে স্ত্রীর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্ত স্ত্রী রিনা বেগম এই টাকা দিয়ে তার পিত্রালয়ে নিজের নামে জায়গা জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তিনি দেশে ফিরে স্ত্রীকে পিত্রালয়ে ক্রয়কৃত জমি বিক্রয় করে টাকা ফেরত এনে দিতে বলেন। কিন্ত টাকা ফেরত না দেওয়ার কু-মতলবে প্রতিশোধপরায়ন হয়ে উঠেন স্ত্রী রিনা বেগম। একপর্যায়ে তার (ইদ্রিস আলীর) দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী বাড়ির শফিক মিয়া বখাটে ছেলে ফাহিম আহমদকে সময়-অসময়ে বসত বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতে দিয়ে বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ার সুযোগ দেন রিনা বেগম। এতে পারিবারিক ও সামাজিক মান-সম্মান বিনষ্ট করায় ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানষিক ও পারিবারিক অশান্তিতে দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নায়, বিধায় তিনি তার স্ত্রীকে এককভাবে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন বলে লিখিত আবেদনে ইদ্রিস আলী উল্লেখ করেন।
তালাকনামা অনুমোদনের জন্য ইদ্রিস আলী প্রদানকৃত আবেদন পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন- আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..