আসছে বৈশাখ, ব্যস্ত সিলেটের মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত: ১২:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০১৯

আসছে বৈশাখ, ব্যস্ত সিলেটের মৃৎশিল্পীরা

ফাহাদ হোসাইন : প্রতিবছরের মতো এবার ও সিলেট শহর জুড়ে সবার মুখে মুখে বৈশাখের কথা। আসছে ১৪ এপ্রিল বাংলা মাসের ১তারিখ যা ১লা বৈশাখ নামে পরিচিত। কেউ বাংলার গ্রামীন সংস্কৃতির মাটির হাড়ি পাতিল কিনতে ব্যাস্ত কেউ আবার বৈশাখীর হাড়ি পাতিল তৈরি করে রং নিয়ে সাজানোর কাজে ব্যাস্ত।

তবে আগের মতো ব্যাস্ত সময় পার করছেন না মৃৎশিল্প ব্যাবসায়ীরা।বাজারে প্রাস্টিক সামগ্রীর বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিস পত্রের ভিড়ে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশের চিরচেনা মৃৎশিল্প। সেই সাথে প্রায় হারিয়ে গেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজানো গ্রামীন সংস্কৃতির নানা উপকরণ ও গৃহস্থালী নানান প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান।

প‚র্বপুরুষের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে মৃৎশিল্প প্রস্তুতকারী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য তৈরী করেন ছোট ছোট পুতুল ও মাটির খেলনা। পরিবারের নারী সদস্যরা ও রঙের কাজে কিছুটা হলে ও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। প‚র্বে মৃৎ শিল্পের খ্যাতি ছিল কিন্তু আজকাল অ্যালুমিনিয়াম, চীনা মাটি, মেলা–মাইন এবং বিশেষ করে সিলভারে রান্নার হাড়ি কড়াই প্রচুর উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মৃৎশিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে। কথিত আছে মৃৎশিল্প প্রায় দুই থেকে আড়াই শত বছর প‚র্ব থেকে চলে আসছে। জানা যায় অতীতে এমন দিন ছিল যখন গ্রামের মানুষ এই মাটির হাঁড়ি কড়া, সরা,বাসন, মালসা ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের সমস্ত উপকরণ মাটির ব্যবহার করত কিন্তু আজ বদলে যাওয়া পৃথিবীতে প্রায় সবই নতুন রূপ। বৈশাখ এলে নতুন সাজে আবার নতুন ভাবে মানুষের কাছে ফিরে এসেছে। শুধু গ্রাম বাংলার নয় শহরের শিক্ষিত সমাজ ও মাটির জিনিস ব্যবহার করে। তবে তা বিচিত্ররূপে। এখন মানুষের রুচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিত্য নতুন রূপ দিয়ে মৃৎশিল্পকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করছে।

তবে বৈশাখী উৎসব ছাড়া এখন আর কুমারদের কর্তৃত্ব নেই। সিলেটের কèীন বীজ এর নিচে রাস্তার পাশে কুমারদের মাত্র চার পাচঁটা দোকান রয়েছে। এখানে দৃষ্টি নন্দন মাটির সামগ্রী কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দৈ পাতিল, মুচি ঘট, মুচি বাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, চাড়ার টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, খোঁড়া, বাটি, জালের চাকা, প্রতিমা,বাসন–কোসন, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ও খেলনা সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায়। তারাও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য লড়াই করে কোন রকম নিজেদের অবস্থান জুগান দিচ্ছে।

সিলেটের কèীন বীজ এর নিচে রাস্তার পাশে মৃৎশিল্প পণ্যের দোকানের বিক্রেতা অমল বাবু জানান, প্রায় ২৫ বছরের ও বেশী সময় ধরে তার এই ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক এবং সিলভার সামগ্রীর জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ধস নেমেছে তবে বৈশাখী উৎসব হলে আমাদের একটু ব্যাস্ত সময় পার করতে হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2019
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..