সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে দুই পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াকুব আলী এবং আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের লোকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, পূর্ব শক্রতার জের ধরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী ইয়াকুব আলীর ভাগনা স্থানীয় শিলের ভাঙ্গা গ্রামের জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার তার শশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য টুকেরবাজারে ফল কিনতে যান। সেখানে জাকিরকে পেয়ে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে গালিগালাজ করেন নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের তালতো ভাই ইসলামপুর গ্রামের মনির মিয়া। ওই সময় আ’লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের চাচাতো বোনের শ্বশুর থানা বিএনপির সহ-সভাপভি আবু তাহের মেম্বার ও মনির মিয়াসহ তারা কয়েকজন জাকিরের উপর হামলা করে। উক্ত হামলা নিয়ে উভয় পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পরে বিষয়টি ওইদিন রাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল বাছির ও নব-নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী শামীমের মধ্যস্থতায় শালিসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল বিকালে ইয়াকুব আলীর ছেলে জাফর তার দুই ছেলে ইয়ামিন ও আকিবকে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে টুকেরবাজার যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করে জাহাঙ্গীরের লোকজন। পরে খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
সংঘর্ষ চলাকালে ইয়াকুব আলীর পক্ষে গোলাম কিবরিয়া, সাদেক মিয়া, শরিফ, ইয়াকুব আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান জয়, ভাই মোশারফ মিয়া, স্ত্রী সাজেদা, ছেলে হোসাইন, জাফর ও হাবিব এবং জাহাঙ্গীরের পক্ষে সুহেল রানা, দেলোয়ার হোসেন, নাজমুল হোসেন, মনির হোসেন, হানিফ মিয়াসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এদের মধ্যে উভয় পক্ষের ১০ জনকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd