সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : অগ্নিদগ্ধ নুসরাত জাহান রাফি পাঁচদিন একটানা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে চলে যান না ফেরার দেশে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়নকারী এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে সারাদেশের মানুষ আওয়াজ তুলছেন।
এরই প্রেক্ষিতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আলোচিত ও সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘সিরিয়াসলি, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বাচ্চারা সেকুলার বা সাধারণ স্কুলে যাবে পড়তে। ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘরে বসে জানার চেষ্টা করবে, আফটার অল ধর্ম – বিশ্বাস একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কথা হচ্ছে, মাদ্রাসাগুলোয় যা ঘটছে প্রতিদিন, তার সামান্য যেটুকু খবর আমরা পাচ্ছি তা ভয়ানক ।
মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বাচ্চাদের ধর্ষণ করছে এবং খুন করছে। বাচ্চাদের সংগে কী আচরণ করতে হয়, এই শিক্ষাটিই এদের নেই। এদের আমি শিক্ষক বলতে চাইনা। এরা শিক্ষক নয়, এরা একএকটা লোলুপ বদমাশ, দুশ্চরিত্র, যৌন হেনস্থাকারী, ধর্ষক, খুনী। এই খুনীদের কাছে যে বাবা মা’রা নিশ্চিন্তে বাচ্চা তুলে দেয়, তাদেরও বলিহারি বুদ্ধি!’
তিনি আরো লিখেন, ‘নুসরাত নামের মাদ্রাসার মেয়েটি ধর্ষক সিরাজের কবল থেকে বাঁচতে চেয়েছিল, কিন্তু এই সাহসী মেয়েটিকে বাঁচতে দেয়নি ধর্ষক এবং ধর্ষকের পুরুষ- সমর্থকেরা, পুড়িয়ে মেরেছে। কিন্তু ধর্ষকদের সমর্থনে বোরখাওয়ালীরা রাস্তায় নেমেছে কেন, যে বোরখাওয়ালীগুলো ধর্ষণের শিকার ইতিমধ্যে হয়েছে অথবা হবে? এদের মাথার ভেতর ঠিক কী আছে খুলি খুলে দেখতে ইচ্ছে করে।’
তসলিমা নাসরিন লিখেন, ‘বাচ্চাদের বাবা মাকে বলছি, স্কুলে পাঠান বাচ্চাদের, মাদ্রাসায় নয়। মাদ্রাসায় বাচ্চাদের জীবন নষ্ট হবে, ভুল জিনিস শিখবে, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতিতা হবে, ধর্ষিতা হবে, অপমানে আত্মহত্যা করবে, খুন হবে। যারা বাচ্চাদের শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে, তারা ভালো কিছু জানলে তো শেখাবে! সিরাজ একা নয়, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা লোকগুলো সিরাজের মতোই। হবে না কেন, ধর্ম কি মেয়েদের মানুষ ভাবতে শেখায়?’
তিনি অভিযোগ করে লিখেন, ‘সরকারও তো ধর্ম বেচে খায়। তা না হলে সরকারই মাদ্রাসা বন্ধের ব্যবস্থা করতো।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd