ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গত ৯ই এপ্রিল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ শুরু হয়েছে। বিতরণকৃত বেশির ভাগ স্মার্ট কার্ড ভুলে ভরা। হাতে পাওয়া এসব স্মার্ট কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। ফের সংশোধনী, নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ, সংশোধনের নামে হয়রানি- এসব দুর্ভোগের কথা ভেবেই মানুষ হতাশ। কুলাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পৌর শহরের ব্যবসায়ী মো. খোকন। কার্ড হাতে নিয়ে দেখেন মহিলার ছবি ও স্বাক্ষর। ছবির মহিলার নাম দিলারা বেগম স্বাক্ষরেও দিলারা বেগম লেখা। মো. খোকনের জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের ছবিসহ সব তথ্য ঠিক ছিল।
কিন্তু নতুন পাওয়া স্মার্ট কার্ডে নাম ঠিকানা ঠিক থাকলেও নিজের ছবির জায়গায় দিলারা বেগম নামে এক নারীর ছবি ও স্বাক্ষর। এদিকে খোকনের কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষরের ওই নারী দিলারা বেগম পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। দিলারা নিজের নামে যে কার্ড পেয়েছেন সেটি ঠিক আছে এবং তাতে কোনো ভুল নেই। এ ছাড়াও একাধিক নারী ও পুরুষের নতুন স্মার্ট কার্ডে জন্মস্থান মৌলভীবাজারের পরিবর্তে মানিকগঞ্জ, জন্মতারিখ ও পিতার নামের সঙ্গে নারীর নাম সংযুক্ত করে ভুল তথ্য দিয়ে দেয়া হচ্ছে স্মার্ট কার্ড।
পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও প্রবীণ মুরব্বি মো. আবদুল আউয়ালের বাংলা নাম সঠিক হলেও ইংরেজি নামে ভুল। শামছুননাহার বেগমের স্মার্ট কার্ডে পিতার নাম ‘আবদুল মতিন বেগম’ লেখা হয়েছে। অর্থাৎ আবদুল মতিনের নামের সঙ্গে বেগম যুক্ত করা হয়েছে। পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবির আহমদের স্মার্ট কার্ডে জন্মস্থান মৌলভীবাজারের স্থলে মানিকগঞ্জ লেখা হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাসিন্দা তাসলিমা সুলতানা নামে জন্ম তারিখের সাল ১৯৯৪ এর স্থলে ১৯৩৫ লেখা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্ডধারীরাও নতুন স্মার্ট কার্ড পাননি।
ভুলে ভরা স্মার্ট কার্ডের ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আহসান ইকবাল জানান, ভুল নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। কেননা প্রথম দফা স্মার্ট কার্ড উপজেলাব্যাপী বিতরণ শেষ হলেই সংশোধনের কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সার্ভার কেন্দ্রের মাধ্যমে সকল ভুলের সংশোধন করা হবে।