সিলেট ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: বাঙালি জাতির সংস্কৃতি, কৃষ্টি এবং ঐতিহ্যধারার অন্যতম উৎসব পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রাণের উৎসব। আজ পহেলা বৈশাখের আয়োজনে নানা অনুষ্ঠানে পুরনো বছরের ব্যর্থতা ও গøানি মুছে, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় সিলেটের মানুষ পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে বরণ করবে নতুন বছরকে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের মতো সিলেটেও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হবে। সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ উপলক্ষে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ, নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, ছোটদের বর্ষবরণ সিলেটে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও ধরনের কার্যক্রম কিংবা অপচেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় সিলেট জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে মহানগরজুড়ে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। পাশাপাশি মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাসানো হয়েছে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা চৌকি। আর সার্বিক অবস্থা তদারকি করার জন্য পুরো মহানগরজুড়ে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকটি ইউনিট।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিলেট পুলিশ সদর দফতর থেকে মহানগর পুলিশের ছয়টি থানার ওসি ও সহকারী পুলিশ কমিশনারদের সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মহানগরীর বাসিন্দাদের সর্তক করে ১৩টি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পুলিশের নির্দেশনার বাইরে কেউ কোনও কাজ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরো জানান, সিলেট মহানগর এলাকায় কোনো ধরণের আতশবাজি, পটকা ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ব্যাগ, থলে, পোটলা, সুটকেস, টিফিন ক্যারিয়ার বা এ জাতীয় কোন বস্তু বহন না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলা ট্রাকে বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড বক্স নিয়ে সিলেট মহানগর এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না এবং কোনও ধরণের রং ছিটানো যাবে না। অনুমোদিত অনুষ্ঠান আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপন/ ভিডিওচিত্র ধারণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশের দেওয়া নির্দেশনা রবিবার রাত পর্যন্ত বলবত থাকবে।
সিলেট র্যাব-৯ এর সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বিঘ্নে বর্ষবরণ উদযাপনের লক্ষ্যে র্যাবের টহল টিমের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালাবে র্যাব। এছাড়াও সিলেটে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে অনুষ্ঠান মঞ্চের আশপাশে র্যাবের সাদা পোশাকের গোয়েন্দা টিমের নজরদারি থাকবে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সবচেয়ে বড় দিকটি হলো বৈশাখী মেলা। নগরীর সুরমা নদীর তীরসহ আরও কয়েকটি বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। পহেলা বৈশাখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হচ্ছে বিশাল আয়োজন। অপর দিকে এমসি কলেজেও নানা কর্মসূচি।
হোটেল রেস্তোরাঁয় আয়োজন করা হয়েছে পান্তা-ইলিশসহ বৈশাখী খানাপিনার আয়োজন। শুভেচ্ছা বিনিময়ে কাগুজে কার্ডের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে ই-মেইল, এসএমএস। বৈশাখী সাজ-পোশাকে ছেলে-বুড়ো সকলে অনন্য সাধারণ আনুষ্ঠানিকতায় নববর্ষকে বরণ করে নেবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd